উত্তর ২৪ পরগনা- বসিরহাট স্বাস্থ্যজেলা সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল আগেই হয়েছে। যা চকচকে বিল্ডিং কিন্তু পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাব। বিভিন্ন সময় চিকিৎসার গাভীলতি জন্য একাধিক অভিযোগ তোলেন রোগী থেকে রোগীর পরিবারের সদস্যরা। সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের ১০ টি ব্লকের প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ এই বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল। একদিকে নদীমাতৃক এলাকা অন্যদিকে সীমান্তবর্তী এলাকা প্রচুর মানুষ এখানে চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসে। হাসপাতাল থাকলেও পর্যাপ্ত চিকিৎসকের অভাব এমনকি নার্সের অভাব। সেইটা প্রায় দেখা যায় প্রতিটা সময় চিকিৎসার গাফেলতি তে মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ সাধারণ মানুষের ।
ইতিমধ্যে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার নার্সিং ট্রেনিং কলেজ করা হয়েছে যেখানে বহু মেধাবী ছাত্রীরা এখানে নার্সিং ট্রেনিং নিচ্ছে। যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে নার্সের অভাব না হয়। আগে বসিরহাট সীমান্ত থেকে সুন্দরবন এলাকা থেকে বউ ছাত্রছাত্রীকে নার্সিং ট্রেনিং নেয়ার জন্য কলকাতার উদ্দেশ্যে যেতে হতো।
সেটা অনেক কমে গেছে কিন্তু দাবি হচ্ছে মেডিকেল কলেজ বহু চিকিৎসক যেমন এখানে পড়াশোনার মাধ্যমে যোগ্যতার মধ্যে চিকিৎসাভাবের । অন্যদিকে পর্যাপ্ত পরিমাণের কলেজ হলে এখান থেকে ডাক্তার বেরোবে আরো স্বাভাবিক হবে বসিরহাট স্বাস্থ্য কেন্দ্র। চিকিৎসা পরিষেবা পাশাপাশি বহু মানুষ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যু অনেকটাই কমবে ।সাধারণ মানুষ থেকে সমাজকর্মীরা চাইছেন খুব দ্রুত বসিরহাট রাজ্যের মধ্যে অন্যতম একটি বৃহৎ স্বাস্থ্য জেলা এখানে প্রচুর মানুষের বাস তাই এখানে একটা মেডিকেল কলেজ হোক ইতিমধ্যে সমাজকর্মী ছন্দক বাইন স্বাস্থ্য দপ্তর ও রাজ্যপালকে তারা লিখিতভাবে আবেদন করেছেন।
বসিরহাট সমাজকর্মী ছন্দক বাইন ইতিমধ্যে প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে মেডিকেল কলেজ হওয়ার জন্য লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছেন ।বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারী, শ্যামল বিশ্বাস বলেন ,আমরা দু’বছর আগে মেডিকেল কলেজ হওয়ার জন্য প্রপোজাল পাঠিয়েছি তার প্রসেসিং চলছে খুব দ্রুত কার্যকর হবে কারণ সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের দশটি ব্লগের কয়েক লক্ষ মানুষ এর উপর নির্ভরশীল আমরা চাই মেডিকেল কলেজ হোক। তার জন্য বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক সপ্তসি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
