জেনে নিন হ্যালোইনের পিছনে লুকিয়ে থাকা অজানা কারণ। গত কয়েক বছর ধরে, হ্যালোইন বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয় এবং শহুরে ভারতে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এমনকী তারকারও বর্তমানে মেতে ওঠেন হ্যালোইন উদযাপনে। বলা চলে হাল আমলের এটি একটি ট্রেন্ড। তবে অনেকেরই অজানা এর পিছনে লুকিয়ে থাকা কারণ। প্রায় বিশ্বজুড়ে পালন করা হয় হ্যালোইন।
মূলত ইউরোপ এবং আমেরিকার উৎসব হলেও এখন এশিয়াতেও এটি উদযাপন করতে দেখা যায়। হ্যালোইনের বিশেষ দিনে, সকলে নিজেদের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর পোশাক পরেন। যেটি বিভিন্ন লৌকিক রীতিনীতি দ্বারা অনুপ্রাণিত বলে বিশ্বাস করা হয়।
হ্যালোইন, ‘অলহ্যালোইন’ হিসাবেও পরিচিত, যার অর্থ সাধু কিংবা মহাপুরুষদের দিন। প্রতি বছরই ৩১ অক্টোবর, পালন করা হয় হ্যালোইন। এই বছর এই দিনটি পড়েছে রবিবার। হ্যালোইন হল একটি প্রাচীন আর্যদের উৎসব যা ইউরোপীয় দেশ এবং আমেরিকায় ফসল কাটার শেষ দিনে উদযাপিত হয়। এই ভুতুড়ে উৎসবের ইতিহাস ২০০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন।
কয়েকটি দেশে হ্যালোইন, ‘অল সেন্টস ইভ’ নামেও পরিচিত। বেশিরভাগ পশ্চিমী খ্রিস্টান ধর্মবলম্বীরা হ্যালোইন উদযাপন করেন। ‘হ্যালোইন’ শব্দের অর্থ ‘পবিত্র সন্ধ্যা’ এবং এটিকে ‘সমস্ত সাধুদের দিন’ হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়। এদিন সাধু,মহাপুরুষ ও শহীদদের স্মরণ করা হয়। সাধুদের সম্মান জানিয়ে, সেই আত্মার জন্যে প্রার্থনা করা হয় যারা এখনও স্বর্গে পৌঁছাননি। এই বিশেষ দিনে মানুষ ভূত ছাড়ানোর জন্য অলৌকিক পোশাক এবং প্রচলিত পোশাক পরত।
আর ও পড়ুন কালী পুজোর দিন লক্ষ্মী পুজো করা হয় কেন?
উত্তর অক্ষাংশের দেশগুলির জন্যে, দিনটি গ্রীষ্মের শেষের দিকে এবং শীতের, যেই সময়ে মৃত্যু এবং রোগে সাধারণ ঘটনা ছিল, সেই সময় উদযাপন করা হয়। তবে আজকাল, হ্যালোইনের সঙ্গে এসব নিয়মকানুন সাধারণত যুক্ত নেই। এখন শিশুরাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুতুড়ে পোশাক পরে এবং ‘ট্রিক অউর ট্রিট’ এই প্রথার সঙ্গে যুক্ত হয়।
‘ট্রিট’ হিসাবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্যান্ডি বা চকোলেট জাতীয় কিছু, শিশুদের দেওয়া হয়। সাধারণত যদি কেউ ভাল হয়,তাহলে তাঁকে এই সব করতে হয়না। এই উৎসবে হ্যালোইন পোশাক পরে পার্টিতে অংশ নেওয়া, কুমড়ো খোদাই করা, মজা করা, ভুতুড়ে গল্প বলা, ভৌতিক সিনেমা দেখা এবং ভুতুড়ে আকর্ষণীয় বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ হয়। শোনা যায়, আয়ারল্যান্ডবাসীরা এদিন হ্যালোইনের পোশাক পরে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মৃতদের জন্যে গান গাইত এবং পারিশ্রমিক হিসাবে তাঁদের কেক দেওয়া হত।