ধৃত অখিলেশ যাদব ঘনিষ্ঠ সুগন্ধী ব্যবসায়ী। কানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। কর ফাঁকির জন্য জৈনকে সিজিএসটি আইনের ৬৯ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে এখন পর্যন্ত তার কাছ থেকে ২৫৭ কোটি টাকার নগদ ও গয়না উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত দু’দিন ধরে একাধিক আয়কর বিভাগ যৌথভাবে ওই ব্যবসায়ীর ব্যবসার জায়গা ও অফিস চত্ত্বরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ১৭৭ কোটির ওপর অর্থ উদ্ধার করে। এখানেই শেষ নয়, আইন প্রয়োগকারী আধিকারিকরা রবিবার ওই ব্যবসায়ীর উত্তরপ্রদেশের কনৌজের আদি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৮টি বস্তায় ভর্তি ২০০০ টাকার নোট উদ্ধার করেছে।
জানা গিয়েছে যে, এখনও পর্যন্ত ওই বাড়ি থেকে ১০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে এবং আধিকারিকরা এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। পীযূষ জৈনের বাড়ি সিল করে দেওয়া হলেও ভেতরে একাধিক আয়কর আধিকারিকরা তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন। সূত্রের খবর, ওই অভিযানে আরও নগদ অর্থ উদ্ধারের সম্ভাবনা রয়েছে। কানপুরের বেশিরভাগ পান মসলা নির্মাতারা পীযূষ জৈনের কাছ থেকে পান মসলা কম্পাউন্ড কিনে থাকেন। এদিকে রবিবার কনৌজে ওই ব্যবসায়ীর পৈতৃক বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়েছে। সংস্থাগুলির অভিযানের সময়, ব্যবসায়ী জৈনের বাড়ির ভিতরে একটি বেসমেন্ট পাওয়া গেছে এবং একটি ফ্ল্যাটে ৩০০ টি চাবি পাওয়া গেছে। জৈনের বাড়ি থেকে উদ্ধারের বিষয়ে ডিজিজিআই থেকে আনুষ্ঠানিক তথ্য এখনও আসেনি।
আসলে, আহমেদাবাদের ডিজিজিআই দল একটি ট্রাককে ধরেছিল। এই ট্রাকে থাকা জিনিসের বিল জাল কোম্পানির নামে করা হয়। সব বিল ছিল ৫০ হাজার টাকার কম, যাতে Eway Bill করতে হতো না। এর পরে ডিজিজিআই কানপুরে ট্রান্সপোর্টারের জায়গায় অভিযান চালায়। এখানে ডিজিজিআই প্রায় ২০০টি জাল বিল পেয়েছে। এখান থেকেই ডিজিজিআই পীযূষ জৈন এবং জাল বিলের কিছু সংযোগ জানতে পেরেছিল। এর পরে ডিজিজিআই আতর ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বাড়িতে হানা দেয়।
অফিসাররা পীযূষ জৈনের বাড়িতে পৌঁছানোর সাথে সাথেই আলমারিতে নোটের বান্ডিল পায়। এর পরেই আয়কর দফতরকে জানানো হয়। এরপর থেকে তদন্তকারী সংস্থাগুলি আতর ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। আয়কর দফতরের এই তল্লাশি অভিযানের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর সেই ছবি দেখে চমকে উঠেছিল নেটদুনিয়া। জৈনের কানপুরের বাড়িতে আলমারিতে থরে থরে সাজিয়ে রাখা রয়েছেনোটের বান্ডিল। নোটের পাহাড় সাজানো ঘরের মেঝেতেও। তার মাঝে তাদর বিছিয়ে বসে রয়েছেন তিন-চার জন। তবে শুধু সাধারণ মানুষই নন, পাহাড়প্রমাণ টাকা দেখে তাজ্জব আয়কর দফতরের আধিকারিকরাও।
আর ও পড়ুন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
জৈনের সুগন্ধী নির্মাণের ইউনিট রয়েছে কনৌজ জেলাতেও, যা কানপুরের পাশে। আয়কর দফতরের আধিকারিকরা শহরের নামী গুটখা ব্র্যান্ড ‘শিখর’ তৈরির কারখানা সহহ অন্যান্য সুগন্ধী তামাক পণ্য নির্মাণের জায়গায় তল্লাশি চালায়। এই অর্থের সঙ্গে সংযুক্ত রয়েছে ভুয়ো ইনভয়েসের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ এবং ই-ওয়ে বিল ছাড়াই পণ্য প্রেরণ। কনৌজ থেকে আসা রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ আয়কর আধিকারিকরা জৈনের দুই ছেলে মোলু ও প্রত্যুষকে নিয়ে কনৌজের বাড়িতে পৌঁছাবে।
উল্লেখ্য, ধৃত অখিলেশ যাদব ঘনিষ্ঠ সুগন্ধী ব্যবসায়ী। কানপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। কর ফাঁকির জন্য জৈনকে সিজিএসটি আইনের ৬৯ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানে এখন পর্যন্ত তার কাছ থেকে ২৫৭ কোটি টাকার নগদ ও গয়না উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত দু’দিন ধরে একাধিক আয়কর বিভাগ যৌথভাবে ওই ব্যবসায়ীর ব্যবসার জায়গা ও অফিস চত্ত্বরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ১৭৭ কোটির ওপর অর্থ উদ্ধার করে। এখানেই শেষ নয়, আইন প্রয়োগকারী আধিকারিকরা রবিবার ওই ব্যবসায়ীর উত্তরপ্রদেশের কনৌজের আদি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৮টি বস্তায় ভর্তি ২০০০ টাকার নোট উদ্ধার করেছে।