নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর২৪পরগণা, ১৯ নভেম্বর, মুখ্যমন্ত্রী গত সপ্তাহের মাঝামাঝি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ফোড়েদের। একইসঙ্গে কৃষি দ্রব্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তৎপর হয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা ও শহরতলির বিভিন্ন বাজারে শুক্র ও শনিবার হানা দেয় কলকাতা পূলিশের এনফোর্সমেণ্ট ব্রাঞ্চ। এবার কলকাতা ছাড়িয়ে জেলার বাজারে হানা দিল এনফোর্সমেণ্ট ব্রাঞ্চ। মঙ্গলবার বারাসাতের বাজার হানা দিল পূলিশের এনফোর্সমেণ্ট ব্রান্চ । সাথে ছিল বিশেষ আধিকারিকদের দল।যদিও মুখ্যমন্ত্রী নড়েচড়ে বসার পরে এরকম সরকারী হানা ইঙ্গিতবাহী ।
মঙ্গলবার সাতসকালে বারাসাতের কাছারিমাঠ সংলগ্ন বাজার সহ বেশ কয়েকটি বাজার সার্ভে করে দেখে ভবাণীভবন সার্ভে ৫ সদস্যের এনফোর্সমেন্ট মেইন ব্রাঞ্চের আধিকারিকেরা। তারা বাজারে এসে দোকনদারদের সঙ্গে কথা বলেন। মুলত জিনিসপত্রের দাম কতটা চড়েছে তা সরেজমিনে খতিয়ে উচ্চতর আধিকারিকদের হাতে জমা দেবেন তাঁরা । সবজি, মাছ কি দরে কিনেছেন ও বিক্রি করছেন সে বিষয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পাশাপাশি লভ্যাংশ কিলো প্রতি ৫ থেকে ৬ টাকার বেশি না হয় সে বিষয়ে দোকানদারদের নির্দেশ দেন। কি দরে মাল কেনা হয়েছে তার স্লিপ অধিকাংশ দোকানদারেরাই দেখাতে পারেনি আধিকারিকদের। কাচা সবজি, মাছ বাজার ঘুরে ঘুরে তারা জিনিসের মান, দাম ও পরিমান ঠিক দেওয়া হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করেন। লাগামছাড়া দাম নেওয়ার জন্য আধিকারিকেরা দোকানদারদের কখনো ধমকের সুরে কখনো বুঝিয়ে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন।
সাড়ে নটা থেকে প্রায় এক ঘন্টা ধরে তারা পরিদর্শন চালানোর পর আবার ফিরে যান। এই ধরনের পর্যবেক্ষণ লাগাতার বিভিন্ন বাজারে চালানো হবে বলেও আধিকারিকদের সুত্রে জানাগেছে। তবে এদিন কোন দোকানদারদের বিরুদ্ধে কোন আইনি পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বাজার করতে আসা মানুষদের মত যে ভাবে কাচা বাজারে জিনিসের দাম বাড়ছে তাতে মধ্যবিত্তের পকেটে টান ধরেছে। যদি আধিকারিকেরা এভাবে বাজার গুলিতে হানা দেয় তবে দাম হয়তো কিছুটা কমতে পারে। সে ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষথেকে যদি জিনিসের দাম বেধে দেওয়া হয় তবে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। এনফোর্সমেণ্ট ব্রান্চের আধিকারিকরা বলেছেন এরকম হানা চলবে । কথা বলা হবে বিক্রেতা ও সাধারণ মাণুষের সাথে