হাওড়া – ভালোবাসা, বয়স, না-পাওয়া — এ তিনে মিলেই থেমে গেল এক কিশোরীর জীবন। আমতার বন্দর এলাকায় শনিবার সকালে দশম শ্রেণির ছাত্রী সুলতা সাঁধুখার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর শোকের ছায়া নেমেছে গোটা পরিবারে। পরিবার হারাল মেয়ে, সমাজ হারাল এক প্রশ্ন — কিশোরী মনে জন্ম নেওয়া জটিল সম্পর্কের ব্যাখ্যা কি আমরা দিতে পারি?
সুলতা তার মাসির মৃত্যুর পর, মাসির স্বামী অর্থাৎ নিজের মেসোর সঙ্গে গড়ে তোলে গভীর সম্পর্ক। ফোনে কথাবার্তা, দেখা-সাক্ষাৎ— ধীরে ধীরে একটি অসম, সামাজিকভাবে অনুচিত সম্পর্কের দিকে এগোতে থাকে কিশোরীটি। যখন পরিবার জানতে পারে, সে নিজের মেসোকেই বিয়ে করতে চায়— শুরু হয় অশান্তি। এক পর্যায়ে ভেঙে ফেলা হয় মেসোর দেওয়া মোবাইলটিও।
এই মানসিক সংঘাতের মধ্যেই শুক্রবার বাড়িতে একা ছিল সুলতা। বাবা-মা, ভাই, মামার বাড়ি গিয়েছিলেন। শনিবার সকালে পরিবারের লোকেরা ফিরে এসে দেখে, ঘরের মধ্যে ঝুলছে মেয়ের নিথর দেহ। আলমারি লণ্ডভণ্ড, আবেগের বিস্ফোরণ যেন ঘরের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে।
এমন ঘটনা শুধু একটি পরিবারকে নয়, গোটা সমাজকে এক কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করায়— ভালোবাসা, বয়স, সীমানা আর মানসিক সুস্থতা নিয়ে আমরা আদৌ কতটা সচেতন?
