ছাত্রকে মেরে অজ্ঞান করে দিলো স্কুলের ইংলিশ টিচার

ছাত্রকে মেরে অজ্ঞান করে দিলো স্কুলের ইংলিশ টিচার

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
অজ্ঞান

ছাত্রকে মেরে অজ্ঞান করে দিলো স্কুলের ইংলিশ টিচার। স্কুল খুলতে না খুলতেই ছাত্রকে মেরে অজ্ঞান করে দিলো স্কুলের ইংলিশ টিচার, আহত ছাত্র কে ভর্তি করা হল বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে । ঘটনা বাঁকুড়া জেলা জয়পুর থানা এলাকার । বুধবার দুপুর বারোটার সময় হিজলডিহা কামিনি বিদ্যামন্দিরের একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্র ও তার বন্ধুরা সাথে প্রজেক্ট জমা দেওয়ার জন্য যায় স্কুলে ঠিক তখনই কোনরকম দোষ ছাড়াই ওই ছাত্রের ওপর চড়াও হয় স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক এলোপাথাড়ি চড় ঘুষি মারতে থাকে তার কানে ও মাথায় সঙ্গে সঙ্গেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে ওই ছাত্র এরপর তড়িঘড়ি স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা ওই ছাত্র কে নিয়ে যায় হিজলডিহা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবার ডাক্তারবাবুরা অবস্থার অবনতি দেখে তাকে রেফার করে জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আহত ওই ছাত্র কে রেফার করা হয় বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ।

 

শিক্ষকের এহেন আচরণে নিন্দার ঝড় উঠেছে জয়পুর ব্লক জুড়ে । ওই ছাত্রের আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে বাবা-মা সকলেই শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি করেন ।স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা যায় ওই শিক্ষক সর্বদাই স্কুলে উগ্র মেজাজ নিয়ে থাকে এর আগেও যে সমস্ত স্কুলে শিক্ষকতা করেছেন সেখানেও তার খারাপ রেকর্ড রয়েছে ।

 

আহত ওই ছাত্র জানান আজ আমি স্কুলে যাই তারপর স্কুলের ইংরেজি শিক্ষক তার মাথায় এবং কানে চড় খুশি মারতে থাকে পাশাপাশি মাথা নিচু করে পিঠে একইভাবে চড় ঘুষি মারতে থাকে এরপর আমি অজ্ঞান হয়ে যাওয়া যাই তারপর আর কিছু জানতে পারি না জ্ঞান ফিরে দেখি আমি বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভর্তি আছি ।

 

আর ও পড়ুন     মহুয়া মৈত্রকে সাবধান করলেন মুখ্যমন্ত্রী, কী বললেন? জানুন

 

ওই ছাত্রের বাবা বলেন তাকে স্কুলের ক্লার্ক বাড়ি থেকে নিয়ে যায়, সেখানে দেখে হিজলডিহা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তার ছেলে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে । এরপর পার্শ্ববর্তী ছাত্রছাত্রীদের কাছে জানতে পারে তার ছেলেকে মারধর করেছে স্কুলের এক শিক্ষক এ ঘটনার জন্য আহত ওই ছাত্রের বাবা শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন এবং তিনি বলেন আজ আমার ছেলেকে এইভাবে মেরেছে অন্যদিন অন্য কোন ছাত্রকে হয়তো মেরেও ফেলতে পারেন ওই শিক্ষক ।

 

বুধবার রাতেই বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সুদীপকে দেখতে আসে হিজালদিহা কামিনি বিদ্যামন্দিরের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষক সুশান্ত কোনার , দেখতে এসে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন এইভাবে মারধর করা উচিত হয়নি আমাদের অধিকার নেই এভাবে মারধর করার তবুও স্কুলে শিক্ষক থাকেন অল্পতেই রেগে যান যে ভুল করেছে আইন আইনের পথে হাঁটবে অবশ্যই ওনার শাস্তি হবে ।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top