দুয়ারে হাতি” হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ চকপাত্রসায়ের কৃষকরা , কৃষকদের দাবি পাত্রসায়ের রেঞ্জ এবং সোনামুখী রেঞ্জ একে অপরের দিকে ঠেলা ঠেলি করছে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রত্যন্ত কৃষকরা । হাতির তাণ্ডবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পাত্রসায়রের ধান চাষীরা , পাশাপাশি আতঙ্কিত জঙ্গল লাগোয়া গ্রামবাসীরা ।
লাগাতার হাতির তাণ্ডব যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না পাত্রসায়ের জঙ্গল লাগোয়া বিস্তীর্ণ এলাকা ধান চাষীদের । বুধবার পাত্রসায় রেঞ্জের চক পাত্রসায়ের এলাকায় রয়েছে ৬৫ টি হাতির একটি দল । বিঘা পর বিঘা ধান জমি পায়ের তলায় পিষে নষ্ট করেছে বুনো হাতির দলটি । রীতিমতো ব্যাপক আর্থিক সংকটে পড়তে হয়েছে ধান চাষীদের ।
অনেকেই মহাজনের কাছে ঋণ নিয়ে ধান চাষ করেছেন কিন্তু হাতির তাণ্ডবে পাকা ধানে যেভাবে মই পরল তাতে মহাজনের সেই ঋণ কিভাবে শোধ করবেন তাই ভেবে রাতের ঘুম ছুটেছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের । তাদের দাবি স্থানীয় বনদপ্তর হাতিগুলোকে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে সঠিক ভূমিকা পালন করছেন না । সে কারণে তাদেরকে আরো বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ।
আর ও পড়ুন হলিউডে যাত্রা আলিয়ার, কবে হবে প্রথম ছবির ঘোষণা…!
শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক চাষী বলেন হাতির তাণ্ডবে কয়েক একর জমির ক্ষতি হয়েছে এই এলাকায় দুমুখো নীতি হচ্ছে পাত্রসায়ের এবং সোনামুখী দুটি রেঞ্চ পিঠ বাঁচানোর লড়াই করছে , কারণ পত্রসায়ের রেঞ্জ সোনামুখীর দিকে হাতিগুলোকে ঠেলে দিচ্ছে এবং সোনামুখী রেঞ্জ পাত্রসায়ের এর দিকে হাতিগুলোকে ঠেলে দিচ্ছে ।
অন্যদিকে সন্ধ্যা হলেই আতঙ্ক গ্রাস করছে পাত্রসায়ের জঙ্গল লাগোয়া গ্রামবাসীদের । সন্ধ্যা হলেই এক প্রকার গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের । কেননা রাতের অন্ধকারে বাড়ির বাইরে বেরোলে যেকোনো মুহূর্তে প্রাণহানির মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । বহুগ্রাম রয়েছে যাদের জঙ্গল পেরিয়ে পাত্রসায়ের এবং বিষ্ণুপুর শহরে প্রতিনিয়ত আসতে হয় ফলে সন্ধ্যার পর তারা পাত্রসায়ের এবং বিষ্ণুপুর শহরে আসতে পারেন না । স্বাভাবিকভাবেই তাদেরকেও ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ।
গত 24 শে অক্টোবর প্রধান বন সংরক্ষক(CCF) অফিসার দেবল রায় বিষ্ণুপুর ফরেস্ট অফিসে ফরেস্ট অফিসার দের নিয়ে একটি মিটিং করে সেই মিটিংয়ে বলা হয় কোন একটি নির্দিষ্ট জায়গায় বেশি দিন হাতি যাতে না থাকে সেদিকে নজর রাখা হবে অথচ পাত্রসায়ের রেঞ্জ গত বেশ কয়েকদিন ধরেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় 70 টি হাতির একটি দল।
তিনি এও বলেন যে সমস্ত এলাকাগুলিতে হাতে ক্ষতি করেছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা বনদপ্তর করবে । এর পাশাপাশি তিনি বলেন প্রায় আট মাসে প্রায় 5 কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া বাকি রয়েছে সেগুলো দ্রুততার সাথে দেওয়া হবে ।