দিল্লি – অনলাইনে প্রতিযোগিতা বা টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে কেউ যদি অর্থ উপার্জন করেন, তবে সেটিকে জুয়া বলা কতটা যুক্তিযুক্ত — এই প্রশ্নেই সরব দেশজুড়ে গেমার ও গেমিং সংস্থাগুলি। কেন্দ্রের নতুন আইন ‘The Promotion and Regulation of Online Gaming Bill, 2025’ কার্যকর হওয়ার পরই আর্থিক লেনদেনভিত্তিক অনলাইন গেম নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
এই আইনের বৈধতা নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয় বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে। আদালত কেন্দ্রকে জবাবদিহির নির্দেশ দিয়েছে। পর্যবেক্ষণে বিচারপতিদের মন্তব্য — “ভারত এমন এক দেশ যেখানে অনেক খেলোয়াড়ের জীবিকা নির্ভর করে খেলাধুলার উপর। তাই গেম খেলে রোজগার করলেই সেটিকে বেটিং বা জুয়া বলা যায় না।” আদালতের মতে, অনলাইন টুর্নামেন্ট বা প্রতিযোগিতায় দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে অর্থ উপার্জন করলে তা নিষিদ্ধের আওতায় পড়া উচিত নয়।
অন্যদিকে, মামলাকারীদের দাবি — কেন্দ্রের এই আইন সংবিধানের ১৯(১)(জি) ধারা লঙ্ঘন করছে, যা নাগরিককে স্বাধীনভাবে পেশা বা ব্যবসা বেছে নেওয়ার অধিকার দেয়।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই আইনের জেরে ড্রিম ১১, এমপিএল-সহ অন্তত ১১টি বড় গেমিং প্ল্যাটফর্ম তাদের পেইড গেম পরিষেবা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এর ফলে প্রায় ২ লক্ষ মানুষের কর্মহানি এবং প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
আগামী ২৬ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল আদালতে উত্তর দাখিল করবেন এবং বিস্তারিত হলফনামাও জমা দিতে হবে।




















