অনুব্রত মন্ডলের মতামত নিয়েই বীরভূমে চলছে সংগঠন দাবি শতাব্দীর। শুক্রবার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে সাংসদ শতাব্দি রায় রামপুরহাটে বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদান করে সেখানে অনুষ্ঠান শেষে তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল হয়তো এই মুহূর্তে বীরভূমে নেই, কিন্তু তাঁর মতামত নিয়েই বীরভূম জেলা চলছে। তাই আপনারা কোন চিন্তা করবেন না।
পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, বিজেপি যা যা প্রচার করছে দিনের পর দিন তার নব্বই শতাংশই মিথ্যে, ওদের কথা বিশ্বাস করে ভুল পথে পরিচালিত হবেন না। মানুষের সাথে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর আস্থা ভরসা বিশ্বাস রাখুন আপনাদের কোন ক্ষতি হবে না। বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন সাংসদ শতাব্দি রায়। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের অনুব্রত মণ্ডল তো জেলে, তাঁর অবর্তমানে জেলার সংগঠনের হাল কেমন, সে প্রশ্নের উত্তরে শতাব্দী বলেন, চলছে যেরকমভাবে চলার, সেরকমই চলছে।
কোথাও কোনও অসুবিধা নেই, তিনি আরও বলেন, যেরকম ভাবে একটি রাজনৈতিক দলের সংগঠন পরিচালিত হয় ঠিক সেইভাবেই সঠিক দিশাতে চালিত হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের সংগঠন। কেষ্ট দাকে সঙ্গে রেখেই সবাই চালাচ্ছে। কেষ্ট দাকে ছাড়া কেউ চালাচ্ছেন না। কেষ্টদাকে তো আর কেউ ভুলে যাননি। হয়তো তিনি ফিজিক্যালি নেই, কিন্তু তাঁর মতামত নিয়েই চলছে দল। অনুব্রত আপাতত সিবিআই হেফাজতে। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির গ্রেফতারির পর জেলায় বড় সভা করেছিলেন শতাব্দী রায়। সেই সময়ে অনুব্রতর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন – কালী পূজার প্রতিমা বানাতে জোর ব্যস্ততা কুমোরটুলিতে
কিছু দিন আগে অবশ্য আরও একটি উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। গরু পাচার মামলায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে নাকি সাক্ষী দিয়েছেন শতাব্দী রায়। সূত্রের খবর, সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, অনুব্রতর বিরুদ্ধে ৯৫ জন সাক্ষী দিয়েছেন। তার মধ্যে ৪৬ নম্বরে নাম রয়েছে শতাব্দী রায়ের। যদিও শতাব্দী অবশ্য দাবি করেছেন, দলের জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে কোনও সাক্ষী তিনি দেননি। এমনকি সাংবাদিকদের মুখে এই প্রশ্ন শুনেও তিনি বলেছেন, তাঁর এসব শুনতে মজা লাগছে। এই পরিস্থিতিতে আবারও বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন শতাব্দী।
তিনি দাবি করলেন, অনুব্রত সশরীরে না থাকলেও বীরভূম এখনও তাঁর কথাতেই পরিচালিত হচ্ছে। সংসদের কাছে জানতে চাওয়া হয় বীরভূমের বেশকিছু নেতা এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যেতে চাইছে, সে বিষয়ে তার মতামত, উত্তরে তিনি জানান, এখনো অব্দি কেউ দল ছেড়ে গেছে বলে এরকম খবর তার কাছে নেই , যদি কেউ দল ছেড়ে চলে যায় তখন বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করে তার উত্তর দেওয়া যাবে। এরপর সাংসদ শতাব্দী রায় মুরারই বিধান সভা এলাকায় জনসংযোগ বাড়াতে সেখানে আরেকটি বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।