আফগানিস্তানে তালিবানের অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবার পথে নামলেন মহিলারা । তালেবানরা আফগানিস্তানের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সেখানকার মহিলারা যেন এক প্রকার ঘরে অবরুদ্ধ। ধর্মের দোহাই দিয়েই তাদের আটকে রাখা হয়েছে ঘরের কোণে। এদিকে দিন দিন তালেবানদের অন্যায়-অবিচার আর অত্যাচারের মাত্রা যেনো বেড়েই চলেছে। এসব অন্যায়ের প্রতিবাদেই এবার রাস্তায় নামলো গৃহে অবরুদ্ধ সেই মহিলারা । গত মঙ্গলবার মাত্র জনা ত্রিশেক মহিলা নেমে এলেন কাবুলের রাস্তায়।
জানা গিয়েছে, একটি মসজিদের সামনে জড়ো হয়ে শুরু করে মিছিল। যদিও মিছিল নিয়ে আর এগোতে পারেনি বেশি দূর। কিছুদূর যাওয়ার পরই তালেবান সৈন্যদের বাঁধার মুখে পড়ে তারা। বাধাপ্রাপ্ত হয়েও থামেনি তারা। স্লোগান শুরু করে তালেবানদের বিপক্ষে। তাদের এই মিছিল ছিলো মূলত রহস্যজনক ভাবে তরুণদের খুন হওয়া নিয়ে। বিশেষত যে সকল তরুণরা আগের সরকারের সাথে জড়িত ছিলেন কোনোভাবে।
মিছিলে বাঁধা পাওয়ার পর সেখানেই তাদের পক্ষ থেকে নিজেদের লিখিত বিবৃতি পড়ে শোনান লায়লা বাসম। তালেবানদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বন্ধ করো এই খুনখারাপির কারখানা।মিছিলের ভেতর থেকেই নায়েরা কোয়াহিস্তানি নামে এক তরুণী বলেন, তালেবানকে এই হত্যা বন্ধ করতে বলার জন্য আমি পুরো পৃথিবীকে আহ্বান জানাতে চাই। আমরা মুক্তি চাই তালেবানদের এই শোষন থেকে।
আর ও পড়ুন তৃণমূলের জন্মদিনে কর্মীদের একজোট হয়ে লড়াই করার বার্তা দিলেন তৃণমূলনেত্রী
নারীদের অধিকার নিয়ে নায়েরা বলেন, মেয়েদের অধিকার মানবাধিকারই। আমাদের অধিকার নিজেদেরই রক্ষা করতে হবে।গত আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর থেকে বিনা অনুমতিতে বিক্ষোভ করায় নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে তালেবান কর্তৃপক্ষ। কর্মক্ষেত্রেও ধর্মের দোহাই দিয়ে দমন করা হয়েছে প্রতিবাদ। এছাড়াও বিভিন্নভাবে উঠে এসেছে তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন ঘটনা।
রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং আরও দুইটি আলাদা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পরে এ পর্যন্ত একশটিরও বেশি বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।এদিকে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের সামনেই ঘটেছে এমন চিত্র। তালেবানরা বেশ কয়েক জন সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিককে আটক করে। তাদের থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ছবি সরিয়ে তারপর ফেরত দেওয়া হয়।