দিল্লি:সীমান্তরক্ষী বাহিনী (BSF)-এর মহাপরিদর্শক এমএল গর্গ সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতিতে জানান, পাহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর শুরু হওয়া ‘অপারেশন সিন্দুর’ চলাকালীন ভারতের পশ্চিম সীমান্তে পাকিস্তান মোট ৪১৩টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই হামলার লক্ষ্য ছিল ফালোদি বিমানঘাঁটি সহ একাধিক সংবেদনশীল এলাকা। তবে, ভারতের শক্তিশালী বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কারণে এই হামলাগুলি সম্পূর্ণরূপে প্রতিহত হয়েছে।
গর্গ বলেন, “পাকিস্তান প্রতিবারই আক্রমণের চেষ্টা করেছে, কিন্তু আমাদের বাহিনী নির্ভুল প্রতিরোধ ও তৎপরতার মাধ্যমে জবাব দিয়েছে।” তিনি নিশ্চিত করেন, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে কোনওটিই ভারতের মাটিতে বিস্ফোরিত হয়নি, বরং মাঝ আকাশেই সেগুলিকে ধ্বংস করা হয়েছে। মাটিতে কেবল পড়েছে ড্রোনের টুকরো ও খালি আবরণ।
আধুনিক প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে রক্ষা পেল বেসামরিক এলাকা
সীমান্তবর্তী কিছু বাড়িতে সামান্য ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া কোনো প্রাণহানির খবর নেই। গর্গ জানান, এই সাফল্যের পিছনে আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক পরিকল্পনা ও মোতায়েন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। তিনি বলেন, “ভারতের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত থাকা যায়।”
‘সীমা ভবানী’দের সাহসিকতায় গর্বিত বিএসএফ
মহিলা কর্মীদের ভূমিকাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন আইজি গর্গ। তিনি বলেন, “সীমা ভবানী নামে পরিচিত বিএসএফের মহিলা সদস্যরা সীমান্তে সাহসিকতার সাথে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছেন, নারীরাও জাতীয় প্রতিরক্ষায় সমানভাবে দক্ষ।”
সীমান্তে উত্তেজনা অব্যাহত, সতর্ক ভারত
বর্তমান সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে গর্গ জানান, যুদ্ধবিরতি চুক্তি সত্ত্বেও পাকিস্তান তাদের সেনা মোতায়েন অব্যাহত রেখেছে এবং সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলি খালি করেছে। তবে ভারতীয় পক্ষ থেকে কোনও গ্রাম খালি করা হয়নি। তিনি বলেন, “এটি আমাদের বাহিনীর উপর বেসামরিক নাগরিকদের আস্থা ও সাহসের পরিচয়।”
গর্গ জানান, অপারেশন সিন্দুর এখনও শেষ হয়নি, শুধু সাময়িকভাবে স্থগিত রয়েছে। BSF এবং অন্যান্য বাহিনী পশ্চিম সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
