অবস্থান আর ক্ষমতা না থাকলে কেউ সম্মান করে না, রেহানা মরিয়ম নূর । দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করলেও গেল বছরে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমা দিয়ে তুমুল আলোচনায় আসেন আজমেরি হক বাঁধন। শুধু আলোচনা নয়, এক লাফে বিশ্বও জয় করে ফিরেছেন তিনি। সেখানেই থেমে নেই, একের পর সম্মাননায় ভূষিত হচ্ছেন আর প্রশংসিত হচ্ছেন। দেশ ছাড়িয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে লাভ করছেন পুরস্কার। সেই ধারবাহিকতায় গতকাল কেরালা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী ছবি হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। সেখানেও সম্মাননা লাভ করেন বাঁধন। অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গতকালই কেরালা পৌঁছান অভিনেত্রী। আগামী ২৬ মার্চ তিনি বাংলাদেশে ফিরবেন বলে জানান।
আজমেরি হক বাঁধন বলেন, ‘এই ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সিনেমাটি শুরু থেকে আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, এখনও দিয়েই যাচ্ছে। এত এত সম্মাননা আর সম্মান পেয়ে আমি সত্যি-ই অনেক আপ্লুত। তাছাড়া আমি যেখানে আছি, এই স্টেটে প্রত্যেকের কাছ থেকে এত বেশি সম্মাননা পাচ্ছি যা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। আমাকে সার্বক্ষণিক পুলিশ প্রোটোকল দিয়ে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নেওয়া হচ্ছে। সত্যি বলতে তারা এত বেশি সম্মান দেখাচ্ছেন আমাকে, যা দেখে আমি রীতিমত অভিভূত।’
গেল ফেব্রুয়ারি মাসেই বাঁধন শেষ করেছেন বলিউডের নির্মাতা বিশাল ভরদ্বাজের ‘খুফিয়া’ সিনেমার শুটিং। খুব শিগগিরই ছবিটি মুক্তি পাবে বলেও জানান তিনি। মুম্বাইতে কাজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বাঁধন বলেন, ‘বলিউডে কাজের অভিজ্ঞতা আমি বলবো এক কথায় অসাধারণ। তারা শিল্পীকে সম্মান দিতে জানে, যেটা বাংলাদেশে নেই। ছবিটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন টাবু, সেখানে আমার একটা ছোট্ট চরিত্র। কিন্তু তারপরেও তারা আমাকে যথেষ্ঠ সম্মান দেখিয়েছেন। বিশাল ভরদ্বাজ তার টিমকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, বাঁধন এখানের অতিথি, তার যেন কোনরকম অসুবিধা না হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা অনেক বেশি গোছানো এবং আগে থেকেই সবকিছু সঠিকভাবে পরিকল্পনা করে রাখে। সময়ের বিষয়েও তারা ভীষণ সতর্ক। টেকনিক্যালি তো তারা আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে, হওয়াটাও স্বাভাবিক; কারণ তাদের বাজেটও থাকে অনেক বেশি। আরও একটা মজার বিষয় হলো, তাদের প্রতিটা ডিপার্টমেন্টেই অনেক মেয়ে কাজ করে, সেটা কস্টিউম হোক বা লাইটে হোক কিংবা আর্টে হোক; সব বিভাগেই মেয়েরা স্বাধীনভাবে কাজ করে। প্রতিটা শিল্পীকে তারা উপযুক্ত সম্মান করে।
কে বড় চরিত্র করছে কিংবা কে ছোট চরিত্র করছে; এভাবে তারা বিভাজন তৈরি করে না। কিন্তু বাংলাদেশে এ বিভাজনটা আছে।’ ‘তারা অবস্থা কিংবা অবস্থান দেখে এই সম্মান করছেন না। আমি একজন শিল্পী আর শিল্পী মানেই সম্মানের। তারা সেটার কদর করতে জানে এবং করেও। যেটা অন্য কোথাও তেমন নেই।