বিহার – উত্তরপ্রদেশের কুশিনগর জেলার খাড্ডা এলাকায় ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক ঘটনা। মাত্র ২৫ বছর বয়সি আসমা খাতুন এবং তাঁর নবজাতক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। অভিযোগ, একটি অবৈধভাবে পরিচালিত হাসপাতালে চিকিৎসার গাফিলতির কারণেই প্রাণ হারিয়েছেন মা ও শিশু। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ডাক্তার সৈয়দকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং হাসপাতালটি সিল করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে প্রসব যন্ত্রণা শুরু হলে আসমাকে খাড্ডা শহরের মহারাণা প্রতাপ চকে অবস্থিত একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গভীর রাতে অস্ত্রোপচার হয়, এবং প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা জানান মা ও শিশু সুস্থ। তবে পরে আসমা এবং তাঁর নবজাতকের মৃত্যু ঘটে। পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন এবং রক্তের ব্যবস্থার জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠান।
পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা প্রশ্ন তোলেন চিকিৎসকের পরিচয় নিয়ে। তখনই অভিযুক্ত চিকিৎসক পালানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁকে আটক করে। পরবর্তী তদন্তে জানা যায়, হাসপাতালটি সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে পরিচালিত হচ্ছিল এবং অভিযুক্ত চিকিৎসক নিজের পরিচয় গোপন করে প্রতারণা করছিলেন।
ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। মৃতদেহ গেটের বাইরে রেখে প্রতিবাদ জানান তাঁরা। পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনাটি গোটা এলাকায় তীব্র শোক ও ক্ষোভের পরিবেশ তৈরি করেছে।
