২৩ ডিসেম্বর, মেধা ও ইচ্ছা শক্তির দ্বারা যে স্বপ্ন বাস্তবায়িত করা সম্ভব, তাই প্রমান করে দিল তামিলনাড়ুর পাত্তুকোট্টাইয়ের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী জয়লক্ষী।অভাবের সংসারে মানসিক রুগী মা,বাবা যেন থেকেও নেই, সুতরাং ছোট ভাইয়ের দায়িত্ব তার কাঁধে।কিন্তু পড়াশোনা ছাড়েনি লক্ষী।এক সরকারি স্কুলে পড়াশুনা করে সে।তারসাথেই সংসার চালানোর জন্য স্কুল শেষে বাদাম বিক্রি করত সে।সাথে নবম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র পড়াতো লক্ষী। কিন্তু এর মধ্যেও এতো বড় সুযোগ আসলো কীভাবে তা সত্যি অবিশ্বাস্যকর।
ছোট থেকেই বিজ্ঞানের প্রতি লক্ষীর খুবই আগ্রহ।স্বপ্ন দেখত বিজ্ঞানী হওয়ার।কিন্তু ভাবেনি সেই স্বপ্ন এতো তাড়াতাড়ি সত্যির রূপ নেবে।একদিন খবরের কাগজ পড়তে পড়তে তার চোখ আটকে যায় একটি বিজ্ঞাপনে। ‘গো ফর গুরু’ নামক একটি সংস্থা মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের সুযোগ করে দিচ্ছে নাসায় যাওয়ার।তবে তার জন্য উত্তীর্ণ হতে হবে কঠিন পরীক্ষায়। বিজ্ঞাপনটি দেখেই জয়লক্ষী ফর্ম ফিলাপ করে।বাড়িতেই কঠিন পরিশ্রম করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয় জয়লক্ষী।আর তার ফল হয় সেরমই বিস্ময়কর।অস্বাভাবিক ভালো ফল করে সফল হয় পরীক্ষায়।আর তারপরই নাসার দ্বার তার জন্য খুলে গেল। নাসা যাওয়ার সুযোগ তো এলো কিন্তু পয়সা?
এরপরই হাত বাড়ালো বহু মানুষ।কয়েকজন শিক্ষক আর তার সহপাঠীর সহযোগীতায় পাসপোর্ট হয়ে যায়। কিন্তু সেটাও যথেষ্ট নয়। এরপর সাহায্যের জন্য হাত বাড়ায় সে। এরপরই এনজিসি এর কর্মচারীরা মিলে তার হাতে তুলে দেয় ৬৫,০০০ টাকা। এছাড়া জেলা শাসক সহ আরও বেশ কিছু জনের সহায়তায় ৬০,০০০ টাকার সাহায্য পায় মেয়েটি। তবে, এখনও প্রয়োজন ৭০,০০০ টাকা। জয়লক্ষী জানিয়েছেন, ‘আমি তাঁদের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ যাঁরা আমার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য সাহায্য করছে। ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি টাকা জোগাড় হয়ে গেলে ছুঁতে পারব নাসার মাটি’।