কলকাতা – প্যারিসের আইফেল টাওয়ার বা সিডনির হারবার ব্রিজের মতো এবার আলোর ঝলকানিতে সেজে উঠবে ৮২ বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত হাওড়া ব্রিজ, বা রবীন্দ্র সেতু। কলকাতার এই অন্যতম পরিচিত ‘আইকন’কে আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতেই ‘ডায়নামিক অর্কিটেকচারাল ইলুমিনেশন অব রবীন্দ্র সেতু’ নামের বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করেছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পোর্ট (এসএমপি) কর্তৃপক্ষ।
এসএমপি-র ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্রাট রাহী জানিয়েছেন, প্রকল্পের প্রাথমিক পরিকল্পনা এবং অর্থ সংস্থানের কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই টেন্ডার ডাকা হবে এবং বাংলা নববর্ষের আগেই এই নতুন আলোকসজ্জা চালু করার লক্ষ্য রয়েছে।
২০০৬ সালে প্রথমবার হাওড়া ব্রিজে আলো লাগানো হয়, পরে এলইডি আলো দিয়ে তা আরও আকর্ষণীয় করা হয়। তবে নতুন প্রকল্পে গোটা ব্রিজ জুড়ে ‘ভলুমেট্রিক’ আলো লাগানো হবে, যেখানে ব্রিজের কঙ্কাল বা কাঠামোর বাইরেও আলো খেলার অভিজ্ঞতা মিলবে। স্বাধীনতা দিবস, দুর্গাপুজো সহ বছরে ৬০টির বেশি বিশেষ দিনে পাঁচ ধরনের উন্নত মানের আলো ও সাউন্ড এফেক্টে ৫–১০ মিনিটের বিশেষ ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো’ উপভোগ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
এই শো উপভোগের জন্য মিলেনিয়াম পার্ক থেকে সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে শোনা যাবে বিশেষ শব্দপ্রবাহ। পাশাপাশি চালু হবে একটি মোবাইল অ্যাপ, যার মাধ্যমে দর্শনার্থীরা ব্রিজের আলোকসজ্জা সংক্রান্ত নানা তথ্য ও সাউন্ড ইফেক্ট শুনতে পারবেন।
এই প্রকল্পের জন্য একটি নবরত্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে, যারা তাদের কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) তহবিল থেকে এই আলোকসজ্জা প্রকল্পের খরচ বহন করবে বলে জানিয়েছে এসএমপি।
বন্দর কর্তৃপক্ষের আশা, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে হাওড়া ব্রিজ কেবল এক ঐতিহাসিক সংযোগপথই নয়, হয়ে উঠবে রাতের কলকাতার নতুন গর্ব ও পর্যটকদের সেলফি তোলার কেন্দ্রবিন্দু।
