অভিশপ্ত ট্রেন দুর্ঘটনা, আড়াই মাসের কন্যা সন্তানের মুখ দেখা হলো না বাবার । নিজের আড়াই মাসের কন্যা সন্তানের মুখ দেখা হলো না।অন্যদিকে, একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর পর পরলৌকিক ক্রিয়ায় আর সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলেন না বাবা। পাশাপাশি অপর এক ঘটনায় অপারেশনের জন্য টাকা জোগাড় করেও হলোনা অপারেশন। ঠাই হলো লাশকাটা ঘরে। এমনই নানা মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল, অভিশপ্ত বিকানের গুয়াহাটি এক্সপ্রেস।
গতকালের ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৯। এর মধ্যে ৫ জনই কোচবিহারের বাসিন্দা। জানা যায় কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের ফলিমারির বাসিন্দা সুভাষ রায় তারা আড়াই মাসের শিশু কন্যার মুখ দেখতে সুদূর জয়পুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। দেখা হলো না তার নিজের শিশু কন্যাকে। আর মাত্র কয়েক কিলোমিটার,বাড়ির দোরগোড়ায় এসে দুমড়ে-মুচড়ে গেল সুভাষ বাবুর কামরা।বাড়ি নয় সুভাষ বাবুর ঠাই হলো জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে।
আর ও পড়ুন ডানলপ থেকে বিরল প্রজাতির কচ্ছপ সহ চারজন গ্রেফতার
একই পরিণতি হলো আরো এক অসহায় পিতার। মাত্র ১ সপ্তাহ আগে একমাত্র আড়াই বছরের কন্যাকে হারিয়ে অভিশপ্ত এই ট্রেনেই বাড়ি ফিরছিলেন কোচবিহার দু’নম্বর ব্লকের লতাপাতা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা রঞ্জিত বর্মন। বাড়ি ফিরে মেয়ের অলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন করবেন তিনি। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস, নিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
মৃত চিরঞ্জিত বর্মন কোচবিহার ১নম্বর ব্লকের চান্দামারীর বাসিন্দা । ভিন রাজ্যে গিয়েছিলেন নিজের চিকিৎসার অর্থ সংগ্রহ করতে। অর্থ সংগ্রহ হলো কিন্তু চিকিৎসা, পেটের পাথর অপারেশন না হলেও, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অপারেশন হলো লাশকাটা ঘরে। মৃত্যু হয়েছে কোচবিহারের আরও দুই বাসিন্দা পাতলা খাওয়ার মঙ্গল ওরা ও কাল পানির বাসিন্দা সাম্রাট কর্জীর ।
উল্লেখ্য, অভিশপ্ত ট্রেন দুর্ঘটনা, আড়াই মাসের কন্যা সন্তানের মুখ দেখা হলো না বাবার । নিজের আড়াই মাসের কন্যা সন্তানের মুখ দেখা হলো না, একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর পর পরলৌকিক ক্রিয়ায় আর সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলেন না বাবা। অপারেশনের জন্য টাকা জোগাড় করেও হলোনা অপারেশন। ঠাই হলো লাশকাটা ঘরে। এমনই মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল, অভিশপ্ত বিকানের গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। গতকালের ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৯।
এর মধ্যে ৫ জনই কোচবিহারের বাসিন্দা। জানা যায় কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের ফলিমারির বাসিন্দা সুভাষ রায় তারা আড়াই মাসের শিশু কন্যার মুখ দেখতে সুদূর জয়পুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। দেখা হলো না তার নিজের শিশু কন্যাকে। আর মাত্র কয়েক কিলোমিটার,বাড়ির দোরগোড়ায় এসে দুমড়ে-মুচড়ে গেল সুভাষ বাবুর কামরা।বাড়ি নয় সুভাষ বাবুর ঠাই হলো জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে।