ইউক্রেনে টানা পাঁচদিন অভুক্ত অবস্থায় বিমানবন্দরে কাটিয়ে অবশেষে বাড়িতে ফিরল শান্তিপুরের যুবক অমিত কুমার বিশ্বাস।টানা পাঁচ দিন প্রায় না খাওয়া অবস্থায় বিমানবন্দরে ঘুরে বেড়িয়েছিলাম, ভাবতে পারিনি বেঁচে বাড়ি ফিরব। চোখেমুখে আতঙ্ক নিয়ে ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরে নিজের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন নদীয়ার শান্তিপুর থানার গবার চর এলাকার বাসিন্দা অমিত কুমার বিশ্বাস।
যদিও একই কথা জানিয়েছিলেন প্রতিবেশী পরিবারের যুবক সমীর বিশ্বাস। শান্তিপুর বেলঘড়িয়া দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের গবারচর তালতলা পাড়ার বাসিন্দা অমিত কুমার বিশ্বাস পেশায় তাঁত শ্রমিক। দীর্ঘদিন করোনা পরিস্থিতিতে তাঁতের কাজ বন্ধ ছিল।
সেই কারণেই কাজ হারিয়ে প্রায় আর্থিক অনটনে ভুগছিল পরিবার। অবশেষে মাস সাতেক আগে নিজের বাড়ির তাঁত গহনা বিক্রি করে আরো কিছু টাকা আত্মীয়দের কাছ থেকে ধার করে ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। আশা ছিল বেশি আয় করে পরিবারের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ ফিরিয়ে আনবেন।
কিন্তু ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধ সেই আশা কেড়ে নিল। কোনরকম প্রাণে বেঁচে বাড়ি ফিরে চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ নিয়ে অমিত কুমার বিশ্বাস বলেন, ইউক্রেন থেকে কোনরকমে পোল্যান্ড বিমানবন্দরের কাছে এসেছিলাম সাথে ছিল প্রতিবেশী সমীর বিশ্বাস ও শান্তিপুর ক্যাশপ পাড়ার যুবক সুমন অধিকারী। সেখানে টানা না খাওয়া অবস্থায় প্রায় পাঁচদিন ঘুরে বেড়িয়েছি। অবশেষে ভারত সরকারের তত্ত্বাবধানে ভারতের পতাকা হাতে নিয়ে কোনরকমে ভারতীয় সেনা কাপটারে দিল্লি বিমানবন্দরে আসি।
আর ও পড়ুন ট্যাংরায় প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংসী আগুন
সেখান থেকে দমদম এয়ারপোর্ট তারপরে রাজ্য সরকারের তত্ত্বাবধানে বাড়ি ফিরি। জীবনে বেঁচে বাড়ি ফিরব সেই আসা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলাম। অন্যদিকে চিন্তায় খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছিল অমিত কুমার বিশ্বাসের পরিবারের। অমিত কুমার বিশ্বাস বাড়ি ফেরার পর স্বস্তির শ্বাস মিলেছে পরিবার এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে। তারা সকলেই রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকার কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
যদিও এখন অমিত কুমার বিশ্বাস বাড়িতে ফিরলোও এক অন্য চিন্তায় ভুগছেন তিনি, কিভাবে রোজগার করে সংসার চালাবেন তা কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অমিত কুমার বিশ্বাস কি জানাচ্ছেন শুনুন তার মুখ থেকেই।