অযোধ্যা পাহাড়ে চাঁদার জুলুমে অতিষ্ট পর্যটকরা ! চাঁদা না দেওয়ায় এক পর্যটক পরিবারে উপর হামলার অভিযোগ স্থানীয় কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে।হামলায় আহত এক মহিলা পর্যটক। পর্যটকের ওপর হামলার ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।পর্যটকরাও অনেক সময় বেলেল্লাপনা করে। আমাদের কাছে কোন অভিযোগ নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানালেন সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
শীত পড়তে রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে অন্যতম সেরা ঠিকানা পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় l সারা বছর এই অযোধ্যা পাহাড়ে পর্যটক দের ভিড় থাকে l তবে শীতের মরসুমে রেকর্ড মাত্রায় লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমান পাহাড়ে। বড়দিনের আগের থেকেই দূরদূরান্তের পর্যটকরা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন অযোধ্যা পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায়।তবে এরই মাঝে বাধ সেধেছে অযোধ্যা পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদার জুলুম। স্থানীয় কিছু যুবক কোথাও ক্লাবের নামে, কোথাও পার্কিংএর নামে চাঁদা বাবদ পঞ্চাস, একশো টাকা জোর করে আদায় করছে। না দিলে পর্যটকদের দেওয়া হচ্ছে হুমকি, এমনকি মারধর পর্যন্ত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ lগোটা ঘটনায় এক আক্রন্ত পর্যটক বিষয় টি পুরুলিয়া পুলিশ সুপার, রাজ্যের পুলিশ সহ পর্যটন দপ্তরে ই মেল করে অভিযোগ জানিয়েছেন l
আর ও পড়ুন সারদা মায়ের জন্ম তিথি উপলক্ষে ভক্তদের জন্য খুলল বেলুড় মঠ
আক্রন্ত পর্যটক রাজীব ঘোষ এর দাবি গত ২২সে ডিসেম্বর কোলকাতা থেকে অযোধ্যা পাহাড়ের ঘুরতে আসেন। এদিন বিকেলে সাইট সিন্ দেখতে পাহাড়ের খয়রাবেড়া জান তারা। সেখানে স্থানীয় কয়েকজন যুবক চাঁদার জুলুম করে ওই পর্যটকদের সঙ্গে।টাকা না দেওয়ায় তাঁদের গাড়ি জ্বলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন উন্মুক্ত যুবকরা l ওই পর্যটকদের চালক সহ পর্যটক পরিবরের মহিলা দের উপর হামলা চালায় তাঁরা l গোটা ঘটনা পর্যটক দের একজন মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তুলে সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করেন।
সোশ্যাল সাইট ও হোয়াটস্যাপে ভাইরাল হওয়া সেই পোস্টে রাজীব ঘোষ নামে আক্রান্ত পর্যটক পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারকে সম্বোধন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন l অভিযোগ চাঁদা আদায় করা যুবকরা মহিলা ও বয়স্ক পর্যটকদেরকেও হেনস্থা করে l চাঁদা আদায় করার যুবকরা বলতে থাকে, যখন পয়সা খরচা করে পুরুলিয়া বেড়াতে এসেছেন, তখন চাঁদা দিতে হবে l এই কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যান ওই পর্যটকের দল।নাকতলার বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, আক্রান্ত পর্যটক রাজীব ঘোষ বলেন, ” পুরুলিয়া বেড়াতে গিয়ে এভাবে চাঁদার জুলুম বাজির মুখে পড়ে কিভাবে হেনস্থা হতে হবে আমরা ভাবতেও পারিনি। এই বিষয়ে প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে।না হলে পুরুলিয়ার মত গুরুত্বপূর্ণ বাংলার পর্যটন কেন্দ্রে মার খাবে এই শিল্প l”
এই বিষয় জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দোপাধ্যায় গোটা ঘটনায় দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন l তিনি জানান অনেক সময় পর্যটকরাও বেলেল্লাপনা করে থাকেন। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এদিকে পর্যটনের সময়ে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জেলা জুড়ে।