বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যু গলায় ফাঁস লেগে হয়েছে-বলল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট!

বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যু গলায় ফাঁস লেগে হয়েছে-বলল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট!

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যু গলায় ফাঁস লেগে হয়েছে-বলল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট! বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যুর পর অবশেষে পাওয়া গেল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।আর সেই রিপোর্ট বলছে,বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে গলায় ফাঁস লেগে। এমনটাই জানিয়েছে কমান্ড হাসপাতাল। এর পরেই মুখবন্ধ খামে আদালতে রিপোর্ট পেশ করা হয়।

 

তারপর,আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, “কমান্ড হাসপাতালের ময়ানতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, গলায় ফাঁস লেগে ঝোলার কারণেই অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যু হয়েছে। গলায় ফাঁস লেগে ঝোলার আগে পর্যন্ত তাঁর দেহে প্রাণ ছিল। অর্থাত্‍ তাঁকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়ার যে দাবি উঠেছিল, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে প্রমাণিত হচ্ছে না।”

 

সূত্রের খবর, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশেই আলাপুরের কামান্ড হাসপাতাবে ময়নাতদন্ত হয়েছিল। সেখানে কল্যাণী এইমস সহ আরজি কর হসপাতালের চিকিত্‍সকরা ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ম্যাজিস্ট্রেটও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া, মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা পড়ার পর প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব জানান, “রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, গলায় ফাঁস লেগেই মৃত্যু হয়েছে বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার।”

আরও পড়ুন – ফের নেপালে ঘাঁটি গাড়ছে কেএলও গোষ্ঠী

এদিকে,মঙ্গলবার বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাসিয়া হত্যা মামলার শুনানির সময় কলকাতা হাই কোর্ট জানায়, “কাশীপুরের ঘটনার তদন্ত করবে রাজ্য পুলিশ। ” এছাড়াও, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ভিসেরা রিপোর্ট রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও, বিচার পতি জানান,”পরিবার আবেদন জানালে তাঁদেরকেও ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেওয়া হবে।”আগামী ১৯ মে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ওই দিন আদালতে তদন্তের গতি প্রকৃতি সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে।

 

প্রসঙ্গত, টালা ব্রিজ সংলগ্ন কাশীপুর রেল কলোনির বাসিন্দা বিজেপি কর্মী অর্জুন চৌরাশিয়াকে ওই এলাকারই রেল কোয়ার্টারের পরিত্যক্ত ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয়রা এই ঘটনায় তীব্র আতংকিত হয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।সেই খবর পেয়ে দেহ উদ্ধারে আসে চিত্‍পুর থানার পুলিশ।

 

কিন্তু, এলাকায় ঢুকতেই স্থানীয় মানুষের বেশ বাধার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে। এদিকে,স্থানীয়রা জানিয়েছেন, “অর্জুন বিজেপি’র সক্রিয় কর্মী ছিলেন। বিধানসভা ও পুরসভা নির্বাচনে দলের হয়ে দিনরাত খেটেছিলেন। শুক্রবার অমিত শাহের কর্মসূচিতেও নির্দিষ্ট দায়িত্ব ছিল তাঁর উপরে। কিন্তু, পুরভোটের পর থেকেই অর্জুনকে বারবার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top