অনলাইনে অর্ডার দিয়েও খাবার পেলেন না প্রসেনজিৎ, মোদী-মমতাকে দিলেন খোলা চিঠি

অনলাইনে অর্ডার দিয়েও খাবার পেলেন না প্রসেনজিৎ, মোদী-মমতাকে দিলেন খোলা চিঠি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
অর্ডার

অনলাইনে অর্ডার দিয়েও খাবার পেলেন না প্রসেনজিৎ, মোদী-মমতাকে দিলেন খোলা চিঠি। তিনি তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করলেন। সেই পোস্টের মাধ্যমে তাঁর ক্ষোভ ব্যক্ত করলেন মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেও।

 

চিঠিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, গত ৩ নভেম্বর তিনি একটি ফুড ডেলিভারি অ্যাপে খাবার অর্ডার করেন। কিছুটা সময় পেরিয়ে গেলে তিনি দেখেন, মোবাইলে স্টেটাস দেওয়া রয়েছে ডেলিভারি হয়ে গেছে। কিন্তু তাঁর কাছে খাবার এসে পৌঁছয় না। অভিনেতা পুরো বিষয়টা নিয়ে ওই সংস্থার সঙ্গে কথা বলেন। প্রসেনজিৎ প্রিপেড অর্ডার দিয়েছিলেন। তাঁর সমস্যা শুনে সংস্থাটি তাঁর টাকা রিফান্ড করে দেয়।

 

এ পর্যন্ত বলে প্রসেনজিৎ লেখেন, তাঁর সঙ্গে যা হল অন্য কারও সঙ্গেও তা ঘটতে পারে। এবার তিনি পর পর প্রশ্ন তোলেন– অতিথিদের জন্য খাবার অর্ডার করে যদি কেউ একটি অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থার উপর নির্ভর করে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকেন এবং শেষ পর্যন্ত খাবার না পান, কেমন দাঁড়ায় বিষয়টা? কেউ যদি কোনওদিন অনলাইনে ডিনার অর্ডার করে শেষ পর্যন্ত তা না পান, কেমন হয় তা হলে? তাঁরা কি খিদে সহ্য করেই বসে থাকবেন? এই ধরনের নানা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে, যা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। তাই প্রসেনজিৎ মনে করেছেন, বিষয়টি সকলকে জানানো জরুরি।

 

তাই তিনি টুইট করে তা জানিয়েছেন। তাঁর করা ওই টুইটের প্রসঙ্গে পরে প্রসেনজিৎকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তাঁর মনোভাব বিশদে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, তাঁর আসলে কারও উপর কোনও ক্ষোভ নেই। ঘটনার পরেও উক্ত অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা থেকেই খাবার আনিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিগত ভাবে তিনি কলকাতায় খাবার ও ওষুধের অনলাইন সংস্থাগুলি কাজ শুরু করার সময় থেকেই বিষয়টিকে সাগ্রহে গ্রহণ করেছেন। এবং ব্যাপারটিকে খুবই প্রশংসনীয় দৃষ্টিতে দেখে থাকেন।

 

তবে তিনি বলতে চান, যখন কেউ অনলাইনে ওষুধ বা খাবারের অর্ডার দেন, তখন সেটা খুব জরুরি ভিত্তিতেই দেন। অর্থাৎ, তাঁর হাতে বিকল্প থাকে না বলেই দেন। জামা-কাপড়ের ডেলিভারি নির্ধারিত সময়ের পরে এলেও হয়তো তত ক্ষতি নেই। কিন্তু খাবার বা ওষুধের বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর এবং তা সময়মতো না এলে খুবই অসুবিধা পড়েন মানুষ।

 

আর ও  পড়ুন     লজ্জা না পেয়ে দল ছেড়ে দিন! তথাগতকে পাল্টা আক্রমণ দিলীপের

 

ফলে তিনি মনে করেন, যাঁরা এই কাজটি করছেন তাঁরা যেন একটু দায়িত্বশীলতার সঙ্গে করেন। অনলাইনে খাবার অর্ডার দিয়ে বিড়ম্বনার মুখে পড়ার ঘটনা নতুন নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা সময়ে এমন অভিযোগ উঠতে থাকে বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে। এবার খোদ টলিউডের ‘মিস্টার ইন্ডাস্ট্রি’র এমন অভিজ্ঞতা হল। আর সেই কারণেই তিনি বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন।

 

তা নিয়ে অনেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। অভিনেতা জিতু কমল প্রসেনজিতের এই চিঠি শেয়ার করে লেখেন, “এ নতুন কি? এখন মানুষকে বিভ্রান্ত করাটাই বড় ব্যবসা…।” উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে জিতুর স্ত্রী নবনীতার ক্রেডিট কার্ড থেকেও প্রায় ২ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা চুরি হয়। ঘটনার পরই ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। তবে গোটা ঘটনা জানার পর ব্যাংক তাঁদেরই টাকা মিটিয়ে দিতে বলেছে বলে জানান জিতু।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top