অর্থের অভাবে থমকে গিয়েছে চিকিৎসা! মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে ৩মাসের এক শিশু কন্যা

অর্থের অভাবে থমকে গিয়েছে চিকিৎসা! মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে ৩মাসের এক শিশু কন্যা। অর্থের অভাবে থমকে গিয়েছে চিকিৎসা মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে ৩মাসের এক শিশু কন্যা।প্রায় ১৫বছর আগে সুতির থানার বেলাঘাটি গ্রামের তাসলিমার বিয়ে হয় সামশেরগঞ্জ থানার আলোমসাহি গ্রামের রফিকুল মোমিমনের সঙ্গে।সুখে শান্তিতে চলছিল সংসার। তাদের রয়েছে ছোট ছোট তিন মেয়ে এক ছেলে।

 

বড়ো মেয়ের ১২বছর বয়স,পারেনি স্কুল যেতে।পরিবারের অনাটন অল্প বয়সেই অর্থ যোগান দিতে শুরু হয়েছে বিড়ি বাধার কাজ।বাবা রফিকুল দিন মজদুর দিন আনে দিন খাই। গত তিন মাস আগে তার দুই মাসের ছোট মেয়ে বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় চোট লাগে,হাল্কা ফুলে যায় মাথার উপড়দিক।দিন আনতে পান্তা ফুরাই পরিবার শুরু করেন চিকিৎসা বেশকিছুদিন পর দেখা যায় মাথার উপরদিক অনেকটাই বড়ো হতে থাকে তার পর প্রথমে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর রেফার করা হয় কলকাতায়।

 

অর্থের অভাবে বাড়ি ফিরে আসে। দিন দিন বিগতিক হওয়ায় অতিরিক্তি মাথা বড়ো হয়ে যাওয়ায় বেশ কিছু অর্থ জোগাড় করে।গত ১৫দিন আগেই একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছবি করলে ডাক্তার বাবুরা জানিয়ে দেন কলকাতা নিয়ে গিয়ে অপ্রেশন করতে হবে।এদিকে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে সব কিছু জমা দিয়েও এখনো মিলেনি সাস্থসাথী কার্ড,বেজায় সমস্যায় পরিবার।সুমাইয়ার মা তাসলিমা বলেন তার মেয়ের এই অবস্থায় তার বাবা নাকি তাদের নিয়ে যায়না, তিনি বেশ কিছুদিন ধোরেই রয়েছে তার মা বাবার বাড়িতে বেলাঘাটি গ্রামে।

 

অবশেষে নিজের মেয়েকে নিজের চোখের সামনে ধুয়ে ধুকে মৃত্যু সজ্জায় না দেখতে পেরে ইতিমধ্যেই কলকাতা নিয়ে যাওয়ার জন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে অর্থ জোগাড় করতে বেরিয়েছেন।যদিও গ্রাম গ্রাম ঘুরে মোটা অংকের অর্থ জোগাড় করতে হিমশিম খাছছেন। কেউ দিচ্ছেন ৫টাকা কেউ আবার ১০টাকা।অবশেষে মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়ে সকল স্বেচ্চাসেবী সংগঠন,সমাজসেবী সহ নেতা মুন্ত্রীদের পাশে দ্বারানোর অনুরোধ জানান।পরিবারের যোগাযোগ নম্বর-৯৬০৯৫৮৫৪২৬।