ভট্টাচার্য বাড়ির ক্ষ্যাাপা মায়ের অলৌকিক কাণ্ডকারখানা

ভট্টাচার্য বাড়ির ক্ষ্যাাপা মায়ের অলৌকিক কাণ্ডকারখানা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
অলৌকিক

ভট্টাচার্য বাড়ির ক্ষ্যাাপা মায়ের অলৌকিক কাণ্ডকারখানা। অলৌকিক পুজো আর মাত্র কয়েক্টা দিন বাকি। বাংলার আকাশে বাতাসে এখন পুজো পুজো গন্ধ। মফস্বলে আদ্যাশক্তি দেবী দুর্গার আবির্ভাব নিয়ে প্রচুর অলৌকিক কাহিনি আছে তার মধ্যে অন্যতম অন্ডালের উখরার মহান্ত স্থল সংলগ্ন ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজো ।

 

কয়েক দশক আগে যখন বাংলায় রাজ শাসন ছিল,তৎকালীন বর্ধমানের রাজার প্রধান পুরোহিত ছিলেন ভট্টাচার্য পরিবারের অষ্টম প্রজন্ম গঙ্গা নারায়ণ ভট্টাচার্য মহাশয় । কথিত আছে সেই সময় রাজার সাথে কোনো কারণে মনোমালিন্য হওয়ায় গঙ্গা নারায়ণ ভট্টাচার্য মহাশয় এই উখরা এলাকায় আসেন ।

 

ভট্টাচার্য পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম শর্মিষ্ঠা ভট্টাচার্য জানান ,তাদের অষ্টম প্রজন্ম গঙ্গানারায়ণ ভট্টাচার্য মহাশয় এখানে আসার পর কথিত আছে, তিনি মা দুর্গার স্বপ্নাদেশ পান । স্বপ্নাদেশে মা দুর্গা একটি গাছের নীচে মাকে পাওয়ার কথা বলেন গঙ্গারাম ভট্টাচার্য্যকে । মায়ের আদেশ মতো গঙ্গারামবাবু সেই গাছতলায় গিয়ে মায়ের দেখা পান। মা দর্শন দিয়ে গঙ্গারাম বাবুকে বলেন, তিনি ক্ষ্যাাপা মা রূপে ভট্টাচার্য পরিবারে পূজিত হতে চান। তারপর থেকেই শুরু হয় ক্ষ্যাপা মায়ের পুজো। তবে এই ক্ষ্যাপা মা সম্পর্কে অনেক অলৌকিক কাহিনিও শোনা যায় ।

 

আর ও  পড়ুন    এখানে দেবী পুজিত হন পোড়া মুখ নিয়ে

 

হঠাৎ একদিন এক শাঁখারী ভট্টাচার্যবাবুকে এসে বলেন তার মেয়ে শাঁখা পরেছে শাঁখার দাম দিতে হবে । অবাক হয়ে ভট্টাচার্য বাবু শাঁখারিকে বলেন তিনি বিয়েই করেননি তার মেয়ে এল কোথা থেকে। তাহলে কে শাখা পরলো ? শাঁখারী ভট্টাচার্য মহাশয়কে একটা পুকুরের কাছে নিয়ে গিয়ে দেখান এখানেই তাঁর মেয়ে শাঁখা পরেছে ।

 

পণ্ডিত ভট্টাচার্য মহাশয় বুঝতে পারেন এটা নিশ্চয়ই মা দুর্গার ছলনা। তিনি কাতর কণ্ঠে মাকে ডাকতে শুরু করেন। হঠাৎ সেই মুহূর্তেই জল থেকে ছোট্ট ছোট্ট দুটো শাঁখা পরা হাত বেরিয়ে আসে । মা প্রমাণ দেন তিনি কন্যা রূপে শাঁখারীর থেকে শাঁখা পরেছেন। এবং তারপর থেকেই এই ক্ষ্যাপা মা দুর্গার দশ টি হাতের মধ্যে দুটি হাত বড় , বাকি আটটি হাট ছোট ছোট ।

 

এ রকম দুর্গা এই পশ্চিম বর্ধমান জেলায় আর কোথাও আছে বলে মনে হয় না । এমনটাই জানান ভট্টাচার্য পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম শর্মিষ্ঠাদেবী। এ ছাড়াও আরও এক অলৌকিক কাহিনির সাক্ষী এই ভট্টাচার্য পরিবার। কথিত আছে কোনো একসময় ডাকাত দল মায়ের অলঙ্কার চুরি করার উদ্দেশ্যে মন্দিরে আসে ।

 

আশ্চর্যের বিষয় ডাকাত দলের প্রত্যেকেই অন্ধ অবস্থায় সকালে মন্দির থেকে উদ্ধার হয়। সকলের ধারণা মা দুর্গা ডাকাত দলের লোকেদের শাস্তি দেন। ডাকাতরা মায়ের কোনো অলঙ্কার নিয়ে যেতে পারেনি। এসব কিছু সত্ত্বেও অন্যান্য দুর্গার মতো ভট্টাচার্য পরিবারের দুর্গাও জাঁকজমকের সঙ্গে পূজিত হয় । ভট্টাচার্য পরিবারে বোধনের দিন থেকেই মায়ের পুজো শুরু হয়ে যায় ।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top