( state ) ১০৮ পুরসভায় মোট ২,২৭৬টি বুথ রয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে মোট ৪৪ হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বুথে বুথে মোতায়েন রয়েছে ইএফআর, এসটিএফ এবং কম্যান্ডো। এতকিছুর পরেও ভোটগ্রহণ পর্ব শুরুর সময় থেকেই উত্তেজনা বুথে বুথে। কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মারপিটের অভিযোগ সামনে এসেছে। কোন্নগর পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণা ভট্টাচার্যকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিবাদে পথ অবরোধে নামেন বিজেপি কর্মীরা। বহরমপুর পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টদের বুথে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পুরভোটে রাজপুর–সোনারপুরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম এজেন্ট এবং কংগ্রেস প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ৩টি ইভিএম মেশিন ভেঙে দেওয়ারও খবর এসেছে। ইভিএম ভাঙার ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন। আবার বারাসতের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শ্যামলী দাসকে আটক করেছে পুলিশ।
তাঁর বিরুদ্ধে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনাতেও রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। বসিরহাট পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪১ নম্বর বুথে ভাঙা হয়েছে ইভিএম। অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী সুজয় চন্দ্র ইভিএম ভাঙচুর করেন। যদিও সুজয়বাবুর সাফাই, সকাল থেকেই বসিরহাট পুরসভার ২, ৩, ৪ এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বুথ দখল করেছেন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
আর ও পড়ুন পুরভোটের আগে জোর কদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
তার প্রতিবাদ জানাতেই ইভিএম ভেঙেছেন তিনি। এদিকে দমদমের ৩১ নং ওয়ার্ডে স্থানীয় সিপিএম কাউন্সিলরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। আবার মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর পুরসভার অন্তর্গত একাধিক বুথে কংগ্রেস প্রার্থীর এজেন্টদের বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বুথে বুথে ঘুরে এজেন্ট বসাচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। উত্তর দমদম পুরসভায় ধুন্ধুমার!
সিপিএম প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ, ভোটারদেরও ভোট না দিতে দেওয়ার অভিযোগ। আক্রান্ত সংবাদমাধ্যমও। ভাঙা হল ক্যামেরা।এদিকে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কৃষ্ণনগরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত সাহা। আজ সকালে ওই ওয়ার্ডের ৯৬ নম্বর বুথে ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন লক্ষ্মীকান্তবাবু। তাঁকে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
আবার জলপাইগুড়ি পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী নারায়ণ সরকারকে ১২/২ নম্বর বুথে থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বুথ এজেন্ট থাকা সত্ত্বেও বুথের ভিতর দাঁড়িয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করছিলেন তিনি। এই নিয়ে জলপাইগুড়ি পুলিশের সদর ডিএসপি সমীর পালের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয় কংগ্রেস প্রার্থীর।
পরে প্রার্থীকে ধাক্কা মেরে বুথ থেকে বের করে দেয় পুলিশ। উত্তরবঙ্গেও চলছে ভোটগ্রহণ। সেখানে বামফ্রন্ট প্রার্থীর হাতে আক্রান্ত কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। অভিযোগ, বুথে পোলিং এজেন্ট বসানো নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। এদিকে, সোনারপুরের বিদ্যানিধি স্কুলে উত্তেজনা। বহিরাগতদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ। বাম, বিজেপি ও নির্দল প্রার্থীর এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬ জনকে।
রিপোর্ট তলব করেছে কমিশন। আবার ভাটপাড়ার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ইভিএম ভাঙচুর, ছাপ্পাভোটের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। আবার কোচবিহার পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মহারানি ইন্দিরা দেবী হাইস্কুলে ১৭৯ বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভুয়ো এজেন্ট বসানোর অভিযোগ, গ্রেপ্তার অভিযুক্ত।