অসহ্য যন্ত্রণায় দুর্বিষহ জীবন! হাত কাটতে চান বাংলাদেশের ‘গাছমানব’

অসহ্য যন্ত্রণায় দুর্বিষহ জীবন! হাত কাটতে চান বাংলাদেশের ‘গাছমানব’

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

অসহ্য যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে নিজের হাত কেটে বাদ দিতে চান বাংলাদেশের গাছমানব। সোমবার নিজের দুর্দশার কথা বলতে গিয়ে এই ইচ্ছার কথাই প্রকাশ করেন তিনি। আসল নাম আবুল বাজনদার হলেও বিরল রোগের কারণে গোটা বিশ্বই তাঁকে ‘গাছমানব’ নামে চেনে।

খুলনার পাইকগাছার বাতিখালি গ্রামের মানিক বাজনদারের ছেলে আবুলের জীবন জন্ম থেকেই এরকম ছিল না। ১০ বছর বয়স থেকে শরীরে অদ্ভুত ধরনের আঁচিল বেরতে শুরু করে। কিন্তু, কয়েকদিন পরে হাতেও বের হয় আঁচিলগুলি। প্রথমে তাঁকে বাড়িতেই  হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ানো হয়। পরে আঁচিলগুলো বাড়তে থাকলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সবকিছু খতিয়ে দেখে কিছু ওষুধ দেন তিনি। কিন্তু, এরপর আবুলের হাতের আঙুল দিয়ে কবজি পর্যন্ত এবং পায়ের আঙুল থেকে হাঁটু পর্যন্ত গাছের শেকড়ের মতো বের হতে থাকে। তখন থেকে তাঁর কাজ করাও বন্ধ হয়ে যায়। খাবারও খেতে হত অন্যদের সাহায্য নিয়ে।

বাধ্য হয়ে ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে এসে অপারেশন করানো হয় তাঁকে। তারপর থেকে ২৮ বছর বয়সী আবুলের শরীরে মোট ২৫টি অপারেশন হয়েছে। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। এই রোগের চিকিৎসার জন্য ভারতে এসেও কোনও লাভ হয়নি বলে জানান তিনি। শেষবার অপারেশনের পর তাঁর সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু, গত মে মাসে ফের হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে। বর্তমানে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে শরীরের। তাই নিজের হাত কেটে যন্ত্রণার উপশম করতে চান এক কন্যাসন্তানের পিতা আবুল।

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কোনওমতেই আর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না আমি। এর জন্য রাতে ঘুমোতেও পারি না। তাই ডাক্তারবাবুদের কাছে আমার হাত দুটো কেটে দেওয়ার অনুরোধ করেছি। যদি এর ফলে যন্ত্রণা কিছুটা কমে।” আবুলের আবেদন নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনা করা হবে বলে জানান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জেন বিভাগের প্রধান সুমন্তলাল সেন। তিনি বলেন, “উনি নিজের মতামত জানিয়েছেন। কিন্তু, ওনার ভালর জন্য যা করা উচিত আমরা তাই করব।”

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top