অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কবলে পেট্রোল ডিজেল! পাল্লা দিয়ে বাড়ল মাছের দাম-বিপাকে মাছে ভাতে বাঙালি! বাঙালির চিরকালীন প্রবাদবাক্য -“মৎস মারিব,খাইব সুখে”। তাই বাঙালির রোজের পাতে যদি মাছ না থাকে তখন অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায় খাদ্যরসিক বাঙালির।কিন্তু, পেট্রোল,ডিজেলের সাথে সাথে এখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বাড়ছে রোজ। কিন্তু, এবার সে সবের তালিকা থেকে বোধহয় মাছ টাকেও বাঁচানো গেল না।
পেট্রোল ডিজেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে এক ধাক্কায় মাছের দাম বেড়ে গেল অনেকটাই। বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা।তারা জানিয়েছেন, ” গত কয়েকদিনে গড়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ মাছের দাম বেড়েছে। ”
এ ক্ষেত্রে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, গত ১৬ দিনে ১৪ বার বেড়েছে পেট্রোলের দাম। পেট্রোল এবং ডিজেল দুটোই সেঞ্চুরি পার করে ফেলেছে।আর এর সরাসরি প্রভাব গিয়ে পড়েছে হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে। বিষয়টি নিতে মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, “তেলের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে অন্ধপ্রদেশ, উড়িষ্যা এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে মাছের আমদানি কমে গেছে। ওখানকার ব্যবসায়ীরা আগের রেটে মাছ পাঠাতে চাইছেন না। আগে যেখানে এই বাজারে গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ ট্রাক মাছ ভিন রাজ্য থেকে আসত, তা কমে ১৫ থেকে ২০ ট্রাকে দাঁড়িয়েছে।”
আরও পড়ুন – সঙ্গমের সময় মহিলাদের কোন দিকে খেয়াল রাখেন পুরুষরা?
এছাড়াও, মাছ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, “১ কেজি সাইজের কাতলা মাছ এই পাইকারি মাছ বাজারে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। তা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২০থেকে ২৫০ টাকা। রুই মাছ ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। পাবদা ৩০০, ৩২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৬০ থেকে ৩৭০টাকা। ভেটকি ৪০০, ৪৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০০ টাকা। আড়টেংরা১৫০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। টেংরা ২৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০ টাকা।
কিন্তু এইসব পাইকারি বাজারের মাছের দাম বলে জানা গেছে। খুচরো বাজারে কেজি প্রতি গড়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বা তার বেশি দামে বিক্রি করেন খুচরো মাছ ব্যবসায়ীরা।আবার এ বিষয়ে, হাওড়া ফিস মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জানিয়েছেন, “মাছের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি অনেক কমে গেছে। ” এদিকে মাছের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গড় বাঙাকি জন সংখ্যা ঘোর বিপদ দেখছেন।ক্রেতারা জানিয়েছেন, ” ইচ্ছে থাকলেও রকমারি মাছ কিনতে পারছি না।