রাজস্থান – পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কাছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে। রাজস্থান পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম প্রকাশ সিং ওরফে বাদল। পাঞ্জাবের ফিরোজপুরের বাসিন্দা প্রকাশ দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত অঞ্চলে সেনার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছিলেন এবং নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাকিস্তানে পাঠাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর এলাকা থেকে রাজস্থান পুলিশের সিআইডি শাখা সোমবার তাঁকে আটক করে। সেনা শিবিরের কাছে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করার সময় তাঁকে ধরা হয় এবং তাঁর মোবাইলে পাকিস্তানের একাধিক নম্বর ও চ্যাটের প্রমাণ মেলে, যেখানে সেনার গতিবিধি, সামরিক যানবাহনের ভিডিও ও ছবি পাঠানোর তথ্য রয়েছে।
রাজস্থান সিআইডির আইজি জানিয়েছেন, প্রকাশ নিয়মিত হোয়াটসঅ্যাপ এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আইএসআই-এর হ্যান্ডলারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়ও তিনি রাজস্থান, গুজরাত ও পাঞ্জাব সীমান্তে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন কার্যকলাপের তথ্য পাকিস্তানে পাঠিয়েছেন। শুধু সেনার গোপন তথ্যই নয়, সীমান্ত এলাকার রাস্তা, সেতু, চেকপোস্ট-সহ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও তিনি শেয়ার করতেন।
২৭ নভেম্বর শ্রী গঙ্গানগরের সাধুওয়ালি মিলিটারি জোনে তাঁর সন্দেহজনক আচরণ দেখেই নিরাপত্তা বাহিনীর নজরে আসে বিষয়টি। পরে জেরায় উঠে আসে পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের প্রমাণ, বহু চ্যাট, ছবি ও ভিডিও। এরপর তাঁকে জয়পুরে নিয়ে গিয়ে দীর্ঘ জেরা করা হয় এবং গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে রাজস্থান পুলিশ গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় প্রকাশ একাই জড়িত কি না, তা নিয়ে আরও তদন্ত চলছে। রাজস্থান ও পাঞ্জাবের বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে। গত কয়েক মাসে পাকিস্তানের হয়ে গোপনে তথ্য পাচারের অভিযোগে রাজস্থানে একাধিক গ্রেফতারি হয়েছে। হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও দিল্লিতেও একই অভিযোগে বহুজনকে আটক করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারাবাহিক ঘটনাগুলি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সীমান্তকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের গুপ্তচর চক্র আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে, যার ফলে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আরও জোরদার তদন্তে নেমেছে।



















