আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রতিমা ভাসানে বাড়লো শব্দবাজির দাপট। দুর্গা প্রতিমার ভাসানে দেখা গেল নিষিদ্ধ শব্দবাজির দাপট। আইনকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চলল বাজি ফাটানোর উল্লাস। কমিশনারেটের এসিপি জানালেন, এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন হতে হবে। আগামী দিনে আরও কড়া ভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে। যে কোনো পূজো উৎসবে দেখা যায় শব্দবাজির দাপট।
যার ফলে দূষণ ছড়ানোর পাশাপাশি অসুবিধায় পড়তে হয় বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের। শব্দবাজি পুরোপুরি বন্ধ করতে একাধিক জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। গত বছর এমনই একটি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট শব্দবাজির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নিদান দেয় প্রশাসনকে। এই নির্দেশের পর গত বছর দুর্গাপুজো ও কালীপুজোয় শব্দ বাজির দাপট অনেকটাই কমে ছিল। কিন্তু, এবছর দুর্গাপুজো ও ভাসানের সময় ফের শব্দ বাজির দাপট বেড়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বিশেষ করে এই চিত্র দেখা গিয়েছে অন্ডাল থানার অন্তর্গত উখড়া ও শীতলপুরে এবং লাউদোহা থানা এলাকায়। বুধবার দশমীর দিন শীতলপুর কোলিয়ারি সর্বজনীন পুজো কমিটির পক্ষ থেকে বাজি প্রদর্শনির আয়োজন করা হয়। সেখানে রোশনাই থেকে বেশি ফাটে শব্দবাজি। একই চিত্র দেখা গিয়েছে বৃহস্পতিবার উখড়া বিবিরবাঁধ ফুটবল মাঠ ও লাউদোহা থানার মাধাইপুর কোলিয়ারি সংলগ্ন ফুটবল মাঠে। দু’জায়গাতেই বৃহস্পতিবার ভাসানের পর বাজি প্রদর্শনী আয়োজিত হয়। যা দেখতে ভিড় জমান প্রচুর সংখ্যক মানুষ।
সেখানেও দেখা গিয়েছে শব্দবাজির দাপট। স্থানীয় পুজো কমিটিগুলির পক্ষ থেকে বাজি প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানান স্থানীয়রা। অভিযোগ, সেখানে নিয়ম ভেঙ্গে শব্দ বাজি ফাটানো হয়। আয়োজক পুজো কমিটিগুলি এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, পুজোর আগে বিভিন্ন বাজারে শব্দবাজি বিক্রি করার জন্য কয়েকজন বিক্রেতাকে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কিন্তু, প্রকাশ্যে বাজি প্রদর্শনীর নামে অসংখ্য শব্দবাজি ফাটানো হলেও এ বিষয়ে পুলিশকে কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি ওমর আলী মোল্লা বলেন, আমরা এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করেছি। পূজোর আগে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি নিয়ে ধরপাকড় করেছি। মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। তাদের ও পরিবেশের স্বার্থে এই আইন। আগামী দিনে আরও কড়াকড়ি করা হবে, কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি।