প্রথমে ড্রোনের আওয়াজ, তারপরই ভারী কিছু পড়ার শব্দ! কী ঘটলো জম্মু-কাশ্মীরে ? ফের সীমান্তে শুরু হল পাক বাহিনীর উপদ্রব। ভারতে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের মদত দিতেই শনিবার মধ্যরাতেই ড্রোনের মাধ্যমে ফের অস্ত্র সরবরাহ করার চেষ্টা চালাচ্ছিলো পাক বাহিনী, এমন অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু পুলিশি সতর্কতায় সেই অস্ত্রশস্ত্র হাত বদলের আগেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গতকাল রাতেই জম্মুর বাইরে সোহাজানা গ্রামে এই অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায় এই ড্রোন।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সুত্রে জানা যায়, “স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে পাকিস্তান থেকেই ড্রোনের মাধ্যমে এই অস্ত্র পাঠানো হচ্ছিল। উপত্যকায় জঙ্গিদের যে মদতদাতারা রয়েছে, তাদের কাছেই এই অস্ত্র সরবরাহ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল।” তিনি জানান, সোহাজানা একটি বিশাল বড় এলাকা এবং তাউয়ি ব্রিজের দিকে বিগত কিছু সময় ধরেই জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যেই কেউ হয়তো জঙ্গিদের মদতদাতা হিসাবে কাজ করছিল।
জানা যায়, পাক ড্রোনগুলি যেভাবে জম্মুর সীমান্ত পার করে বারবার ঢুকে পড়ছে এবং বিস্ফোরক ও অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালাচ্ছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। উপত্যকা তথা গোটা দেশেরই নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটি একটিবড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। জম্মু জেলার পুলিশ প্রধান চন্দন কোহলি বলেন, “গতকাল রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আমরা ওই অঞ্চল থেকে একটি একে-৪৭, তিনটি এক-৪৭-র ম্যাগাজিন, ৩০ রাউন্ড গুলি ও একটি টেলিস্কোপিক সাইট উদ্ধার করা হয়েছে।”
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, , শনিবার মধ্য়রাতে সোহাজানার আলোরা মন্ডল এলাকায় একটি ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছিল। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ ড্রোনের শব্দ শুনতে পান এক গ্রামবাসী। বেরিয়ে দেখেন আকাশ থেকে ভারী কিছু পড়ল। এরপরই তিনি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে।
আর ও পড়ুন ভবানীপুরে ভোটে জয়লাভ করার পর কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই সীমান্তে ড্রোনের গতিবিধি বেড়েছে। জুন মাসের শেষভাগে জম্মু বিমানবন্দরের বায়ুসেনার ছাউনিতে ড্রোনের মাধ্যমে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটানোর পর থেকেই সীমান্তের আশেপাশে একাধিকবার ড্রোনের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। গত ২৩ অগস্টই আর্ণিয়া সেক্টরে বিএসএফ জওয়ানরা একটি ড্রোন দেখতে পান এবং সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায়। তার আগেও গত ২৪ জুলাই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ গুলি করে একটি ড্রোন নামায়।
সেই ড্রোন থেকে ৫ কেজি আইইডি উদ্ধার করা হয়। ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে মাত্র ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার দূরেই ওই অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায় ড্রোনটি। হলুদ রঙের একটি পলিথিনে মুড়িয়ে, নাইলনের একটি দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা ছিল ওই অস্ত্রশস্ত্রগুলি। ড্রোনে ওভাবেই ঝুলিয়ে আনা হয় অস্ত্রগুলি। বিগত কয়েক মাস ধরেই সীমান্তে ড্রোনের গতিবিধি বেড়েছে।
জুন মাসের শেষভাগে জম্মু বিমানবন্দরের বায়ুসেনার ছাউনিতে ড্রোনের মাধ্যমে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটানোর পর থেকেই সীমান্তের আশেপাশে একাধিকবার ড্রোনের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। গত ২৩ অগস্টই আর্ণিয়া সেক্টরে বিএসএফ জওয়ানরা একটি ড্রোন দেখতে পান এবং সঙ্গে সঙ্গে গুলি চালায়। তার আগেও গত ২৪ জুলাই জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ গুলি করে একটি ড্রোন নামায়। সেই ড্রোন থেকে ৫ কেজি আইইডি উদ্ধার করা হয়।