করোনা মহামারির ভয়াবহ ত্রাস আছড়ে পড়েছে ইউরোপে

করোনা মহামারির ভয়াবহ ত্রাস আছড়ে পড়েছে ইউরোপে

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
আছড়ে

করোনা মহামারির ভয়াবহ ত্রাস আছড়ে পড়েছে ইউরোপে। ইউরোপের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি আবারও ভয় ধরাচ্ছে। কোন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভারত? ভারতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার কমলেও, চিন্তা বাড়াচ্ছে কেরালা, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ।এদিকে রাজ্যেও ফের বাড়ল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।

 

ফের উদ্বেগ বাড়িয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৬০ জন। রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৮১৯ জন। যার ফলে বাড়ল সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। এদিকে জেলাওয়ারি হিসেবে সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কলকাতা। রাজ্যে দেখা যাচ্ছে পুজোর পর থেকেই ধীরে ধীরে বাড়ছে দৈনিক সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে জগদ্ধাত্রী পুজোতেও করোনাবিধি মেনে চলার নির্দেশ  দেওয়া হয়েছে।

 

এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া উদ্বেগ বাড়লো। উদ্বেগ বাড়লো ইউরোপেও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে ইউরোপে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।

 

করোনা মহামারী প্রকোপের পর থেকে এক সপ্তাহে এই হারে করোনা সংক্ৰমণ ইউরোপে প্রথম। এরই মধ্যে করোনার ২৭ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।  গত সপ্তাহে সারা বিশ্বে যে সংখ্যক মৃত্যু হয়েছে, তার অর্ধেক। পূর্ব ইউরোপের যেসব দেশে ভ্যাকসিনেশন কমেছে সেখানে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে পশ্চিম ইউরোপের যেসব দেশে টিকা দেওয়ার হার সবচেয়ে বেশি সেখানেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।

 

আর ও পড়ুন    নওসাদের পাড়ায় আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ

 

ইউরোপ আবারও করোনা ভাইরাসের ‘এপিসেন্টার’ হয়ে উঠছে। সেখানে পুনরায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কোভিড বিধি। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১,৮৫০। শুক্রবারের থেকে শনিবার ৫.৩% কমেছে ভারতের সংক্ৰমণ। মৃতের সংখ্যা ৫৫৫। দেশের মধ্যে কেরালায় করোনা সংক্ৰমণ ৬,৬৭৪। মহারাষ্ট্রে সংক্রমিত ৯২৫। পশ্চিমবঙ্গে ৮৬০।গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১২,৪০৩ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। দেশে ৯৮.২৬ শতাংশ মানুষ সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।

 

এদিকে, ইউরোপে করোনা ত্রাস প্রসঙ্গে WHO জানিয়েছে, ৫০ কোটি কোভ্যাক্স ভ্যাকসিন ১৪৪টি দেশে পৌঁছেছে। এই বছরের শেষে বিশ্বের জনসংখ্যার ৪০ শতাংশকে টিকা দেওয়া উচিত। এর জন্য আগামী ১০ দিনের মধ্যে মোট ৫৫ কোটি ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে। করোনা মহামারির কারণে ২৩টি দেশে ২৪টি হামের টিকাদান কর্মসূচিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের ৯ কোটি ৩০ লাখ শিশু এখনও বিপদে রয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top