আজব কান্ড মানিকচক ব্লকের উত্তর চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের

আজব কান্ড মানিকচক ব্লকের উত্তর চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

আজব কান্ড মানিকচক ব্লকের উত্তর চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের। পাটের জমি। সরকারি খাতায় উল্লেখ রয়েছে পুকুর। তাও আবার ১০০দিনের প্রকল্পে মাধ্যমে পঞ্চায়েত খনন করেছে সেই পুকুর। এমনই সব আজব কান্ড মালদার মানিকচক ব্লকের উত্তর চন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের।শুধু কি তাই। এই পঞ্চায়েতের বাসিন্দা নুর ইসলাম আশা করেছিলেন পঞ্চায়েত তার যৎসামান্য জমির উপর পুকুরটা খুঁড়ে দিবে। তাই জমির কাগজ জমা দিয়ে পুকুড় খনন প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। বছর ঘুরে গেলেও বসতবাড়ির সংলগ্ন জমির উপর পুকুর খনন আর হয় নি।

আরও পড়ুন- না ফেরার দেশে রাজা, শোকের ছায়া আলিপুরদুয়ারে

কিন্তু পঞ্চায়েত থেকে পুকুর খনন হয়েছে পাথরে খোদাই করে বোর্ড লাগিয়ে দিয়ে গেছে। 2019-2020 অর্থবর্ষে উত্তর চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে 22 টি পুকুর খননের পরিক্পনা করা হয়। খাতায় কলমে পুকুর খনন সমাপ্ত হয়েছে। পুকুর খনন বাবদ বরাদ্দ অর্থ ব্যয়ও করা হয়ে গেছে। তবে বাস্তবে পুকুর কোথাও নেই। নুর ইসলাম,তারিখ আনোয়ার,ফতেমা বেওয়া, রুমি বিবিরা আজও পঞ্চায়েতের খনন করা পুকুর পায় নি। অভিযোগ করেছেন পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে ব্লক দপ্তরে।

 

অভিযোগ করা হয়েছে জেলাশাসকের কাছেও। উত্তরচন্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান রুখসানা বিবি বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এটেঁছেন। অনাস্থার আগের প্রধান এমন কান্ড করেছেন বলে জানান তিনি। প্রকল্পের সময় প্রধান হিসাবে দায়িত্বে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী বিউটি বিবির স্বামী আতাউর রহমানন এমন অভিযোগ অস্বীকর করে দাবী করেন পুকুর খনন হয়েছে। প্রাপকেরা পুকুর খনন প্রকল্পের মাধ্যমে পুকুর পেয়েছেন। এই অভিযোগ ঘিরে শুরু হয়েছে তৃণমূল বিজেপি চাপানউতোর। মালদার জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top