আজিমগঞ্জ বারোয়ারী দুর্গামন্দিরের দুর্গোৎসব। মুর্শিদাবাদ জেলা ঐতিহাসিক জেলা আর এই জেলা মধ্যে অবস্থিত আজিমগঞ্জ সহর তার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ভাগীরথী নদী ছোট্ট একটা শহর নদীর এপারে আজিমগঞ্জ আর ঐ পারে জিয়াগঞ্জ দুটোই লালবাগ ব্লকের অধীনে, প্রতি বছর জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালিত হয় শারদীয়া উৎসব। আজিমগঞ্জ শহরে সবচেয়ে বড় দুর্গোৎসব হয় আজিমগঞ্জ বারোয়ারী দুর্গামন্দিরে এই দূর্গামন্দির প্রতিষ্ঠিত হয় ১৪২৯ সালে, এবারে ৮৩ তম বর্ষে পারাখলো এই দুর্গামন্দির।
প্রতি বছর এই দূর্গামন্দিরে দুর্গোৎসব পরিচালনা করেন ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাব (F. U. C)
ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাবের সভাপতি শ্রী প্রসেনজিৎ ঘোষ (মনু) জানান আমাদের এই দুর্গামন্দিরে প্রতি বছর খুব বড়ো করে দুর্গোৎসব পালন হয়, প্রায় ৫লক্ষ টাকা ব্যায় করে এই উৎসব পালন করে থাকি। এছাড়াও ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাবের সম্পাদক শ্রী বাসুদেব ঘোষ বলেন আমাদের আজিমগঞ্জ শহরের বুকে বারোয়ারী দুর্গামন্দির সবচেয়ে বড়ো দুর্গোৎসব পালন হয়ে থাকে প্রতি বছরই একেবারে দুর্গামন্দির প্রাঙ্গন বামদি এবং ডানদিকে প্রায় ৫০০ মিটার পর্যন্ত আলোকসজ্জায় সজ্জিত থাকে এছাড়াও মাইক, সাউন্ড বক্স থাকে সব চেয়ে বেশি।
আরও পড়ুন – হাই মাদ্রাসা স্কুলের পরিচালন সমিতির নির্বাচন উপলক্ষ্যে নমিনেশন দাখিল তৃণমূলের
ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাবের যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ শ্রী বাপন ঘোষ ও প্রেমাঙ্কুর দাস জানান সামনে বছর দুর্গোৎ সবের জন্য ক্লাব গুলোকে ৫০হাজার টাকা দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবছর সেটা বেড়ে হয়েছে ৬০ হাজার টাকা। আমারা এবছর মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে পেয়েছি ৬০হাজার টাকা আমাদেরফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাবের পক্ষ থেকে। ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাবের সদস্যবৃন্দ হরিপ্রসাদ সাহা, রঞ্জিত রায়, মন্টি দাস, ইন্দ্রজিৎ ঘোষ, উজ্জ্বল গুপ্ত, বন্যেশ্বর দাস, বিকি সাহা, সৌভিক দাস, জীতেন দাস, রাজেশ সিং, অঙ্কুশ প্ৰমুখরা এই দূর্গামন্দিরের সমস্ত বিষয় দেখাশোনা করে।