আজ ও ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট হয়ে ওঠা হল না হিলি স্থল বন্দরে। বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে তিন দিক ঘিরে অবস্থিত দক্ষিন দিনাজপুর জেলার সীমান্তের হিলি স্থল বন্দর। জানা যায়,স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের পরই ভারতের সাথে বৈদেশিক বানিজ্যের জন্য প্রথম চালু হয়েছিল এই বন্দর।তারপর এতকাল কাটার পরেও জমি জট ও নানা সমস্যার কারনে এই স্থল বন্দর বর্তমান কালেও ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট হয়ে উঠতে আর পারল না। এইসব কারণের সাথেও আছে স্থলবন্দরের পরিকাঠামোর অনুয়ন্নয়ন এবং স্থানীয় এক্সপোর্টাসদের অন্তর্কলহ।
এই কারণগুলি আবার হিলি স্থল বন্দরকে সমূহ ক্ষতির পথে চালনা করছে।ব্যাপারটি নিয়ে ক্রমশ ক্ষুদ্ধ হচ্ছেন হিলির বাসিন্দারা।অথচ এই জমি জট কাটিয়ে হিলি স্থলবন্দরকে ইন্টিগ্রেটেড স্থল বন্দর হিসেবে গড়ে তুলে হিলিকে একটি আন্তর্জাতিক মানের ব্যবসায়িক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ব্যাপারে জেলার কোন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দেরই যে বিশেষ সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে, তা কিন্তু নয়।
প্রসঙ্গত, হিলি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের একটি স্থলবন্দর এবং সীমান্ত চৌকি, যা পণ্য এবং লোকজনের সুচারু চলাচলের জন্য একীভূত চেকপোস্ট (আইসিপি) হিসাবে পরিচিত। হিলির একটি অংশ দিয়ে বাংলাদেশে অবস্থিত সীমান্তের ওপারে ট্রাক পরিবহনের মাধ্যমে বাণিজ্য চালায়। এছাড়া,হিলিতে রফতানি / আমদানির জন্য একটি শুল্ক অফিসও আছে। প্রায় প্রতিদিন এই স্থলবন্দর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার পান কয়েক কোটি টাকা শুল্ক।যদিও সূত্রের খবরে জানা গেছে কেন্দ্রীয় সরকার এই স্থল বন্দরটি থেকে আরো বেশি পরিমাণে পন্য চলাচল ও দুই দেশের মানুষদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য এই স্থল বন্দরের উন্নয়নের স্বার্থে পদক্ষেপ গ্রহন করেছিল।
দুবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য হিলি পরিদর্শনে আসা হয়।কিন্তু রাজ্য সরকারের ছিল জমিজট।তাই আজও সে পরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঘটেনি। আর তাই ১৯৭১ এ বাংলাদেশ গঠনের কয়েক বছর পর হিলি স্থল বন্দরকে চালু করা হলেও হিলিতে আজও ইন্ট্রিগেটেড চেক পোস্ট গড়া সম্ভব হয় নি।এদিকে বিষয়টি নিয়ে হিলির মানুষ ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন যে “হিলিকে নিয়ে সবাই ছেলে খেলা করছে।
অথচ প্রতিদিন এই হিলি থেকে কি কেন্দ্রীয় সরকার কি রাজ্য সরকার নানা ভাবে প্রচুর অর্থ তাদের কোষাগারে নিয়ে গেলেও না হয়েছে রেল পথ না হয়েছে ইন্ট্রিগেটেড চেকপোস্ট। ” এই সব কিছু নিয়ে তাই হিলিবাসি অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ।বর্তমানে তাদের একমাত্র দাবি, ” সমস্ত বাধা দূর করে হিলি ও জেলার উন্নয়নের জন্য হিলিতে ইন্ট্রিগেটেড চেক পোস্ট অবিলম্বে তৈরির কাজ শুরু করা হোক।”