আট বছর আগে ভয়াবহ বন্যায় ভেঙে খাড়িতে ধ্বসে যায় এলাকার রাস্তা, তারপর থেকেই রাস্তা নেই এলাকায়, প্রতিশ্রুতি মিললেও হয়নি কাজ!

আট বছর আগে ভয়াবহ বন্যায় ভেঙে খাড়িতে ধ্বসে যায় এলাকার রাস্তা, তারপর থেকেই রাস্তা নেই এলাকায়, প্রতিশ্রুতি মিললেও হয়নি কাজ!

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

মালদা-  দীর্ঘ আট বছর আগে বন্যায় ভেঙে ধ্বসে পড়ে এলাকার রাস্তা।তারপর থেকে এলাকায় নেই কোনো রাস্তা। হয় না যানবাহন চলাচল। ঢুকতে পারে না এম্বুলেন্স বা দমকলের গাড়ি।ব্যাপক সমস্যায় পড়েন রোগী এবং প্রসূতিরা। ভোট এসছে ভোট গেছে। মিলেছে রাস্তার প্রতিশ্রুতি। কিন্তু পথশ্রী প্রকল্পে বহু জায়গায় রাস্তার কাজ হলেও বঞ্চিত থেকে গেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দারা। তাই এদিন রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। দ্রুত রাস্তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি। শাসকদলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এলাকাবাসীর পাশে দাড়িয়ে এই দাবিকে যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করছেন। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন কেন হল না রাস্তা। মন্ত্রীর বিধানসভা এলাকাতে কেন বঞ্চনা। সমগ্র ঘটনায় কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা।যদিও মন্ত্রীর আশ্বাস দ্রুত শুরু হবে রাস্তার কাজ।ফুলহর নদী সংলগ্ন বন্যা কবলিত এলাকা এই চাঁদপুর।দশ বছর আগে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে মধ্য দক্ষিণ চাঁদপুর এলাকায় খাড়ির দুইপাশে কংক্রিটের ঢালাই রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০১৭ সালের ভয়াবহ বন্যাতে জলের তোরে রাস্তা ভেঙ্গে ধ্বসে যায়। তারপর থেকেই নেই রাস্তা। এলাকার মানুষ বারবার দাবি করেছে।স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রশাসন কে বলেছে। এমনকি ওই এলাকায় এর আগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিল না। মানুষের ধারণা ছিল শাসকদলকে জেতালে রাস্তার কাজ হবে। যদিও সেটাও হয়নি। শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্য নিজের মুখেই বলছেন দুই বছর ধরে তিনি চেষ্টা করেও করাতে পারেন নি। এই পরিস্থিতিতেই এদিন বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ। বাম কংগ্রেস জোটের অভিযোগ সেখানে জোটের ভোট বেশি থাকার জন্য এই বঞ্চনা।এখন মন্ত্রীর আশ্বাসের পর বিধানসভা ভোটের আগে চাঁদপুরবাসীর রাস্তার দাবি পূরণ হয় কি না। সেটাই দেখার বিষয়।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top