গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী ছাত্রী। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী এক উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্রী।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা ছাত্রীর নাম স্নেহা সাহা (১৭)। বৃহস্পতিবার সকালে তার ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকেরা।ঘটনাটি হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার তুলসীহাটা মস্তান রোড এলাকার । মৃতার বান্ধবীর বাবার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ। মেয়ের মৃত্যুতে পরিবারের শোকের ছায়া। অভিযুক্ত কঠোর শাস্তি দাবি এলাকাবাসীর।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃতা ছাত্রী স্নেহা সাহার সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল বিহারের আজমনগর থানার
জ্যোতি শার সঙ্গে। জ্যোতি তুলসিহাট্টায় তার দাদুর বাড়িতে থাকতো। এরই মধ্যে জ্যোতি স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে । এই ঘটনায় জ্যোতির বাড়ির লোকজন স্নেহাকে দায়ী করে লাগাতার হুমকি দিতে থাকে। মানসিক চাপ সহ্য না করতে পারি স্নেহা আত্মঘাতী বলে পরিবারের দাবি। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দ্রুত মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
আরও পড়ুন – বিএসএফের উদ্যোগে সীমান্তবর্তী এলাকায় শিশুদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
স্নেহের বাবা মিন্টু সাহা জানান’আমার মেয়ের সঙ্গে জ্যোতির অনেক দিনের বন্ধুত্ব ছিল। যদি এলাকার একটি ছেলের সঙ্গে প্রেম ভালোবাসা করে পালিয়ে যায়।পরে সেটা মিটমাট হয়ে যায়। এরপর থেকেই জ্যোতির পরিবার আমার মেয়েকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করতে থাকে।প্রায় প্রতিদিন ই জ্যোতির বাবা এবং ওর বাড়ির লোক আমার মেয়েকে ফোনে হুমকি দিত। মেরে ফেলার ভয় দেখাতো। মেয়েটা মানসিক অবসাদে ভুগছিল কিন্তু এইভাবে যে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেবে ভাবতে পারিনি।আমি চাই পুলিশ এই ব্যাপারে সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিক। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ