প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে কুলতলি থানায় আত্মসমর্পণ প্রেমিকের।ভরসন্ধ্যায় কুলতলি থানায় ডিউটি অফিসার অভিযোগ নিতে ব্যস্ত। ঘড়িতে তখন ৬-১০। এর মধ্যে উসখুসকো চুল, হন্তদন্ত ভাব ৩৯ বছরের ব্যক্তি সটান হাজির ডিউটি অফিসারের কাছে। সঙ্গে তাঁর ১৩ বছরের ছেলে।
ওই ব্যক্তি বলে, স্যার আমি শ্বাসরোধ করে খুন করে দিয়েছি, দেহ ঘরে আছে। ছেলেটাও বলে ওঠে, স্যার বাবা ধর্ম পিসিকে খুন করেছে। কথা শুনে পুলিশের র তো চোখ ছানাবড়া। কি বলছেন ওই ব্যক্তি? কাকে খুন করেছে? ঠিক শুনছি তো, এই ভেবে ডিউটি অফিসার বাইরে বেরিয়ে এসে সব শুনে খবর দেন আই সিকে।
আই সি হন্তদন্ত হয়ে এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনাস্থলে চলে যান দেহ উদ্ধার করতে। পুলিশ দেখে খাটের উপর নিথর দেহ পড়ে আছে। পুলিশ জানতে পার নিজের প্রেমিকাকেই খুন করেছে প্রেমিক। তারপরেই গ্রেপ্তার করা হয় প্রেমিককে। মৃতার নাম করুণা গায়েন(৪৫)।
আর ও পড়ুন ভোট গণনা শুরু হতেই এগিয়ে চলেছে তৃণমূল
অভিযুক্তের নাম পরমেশ্বর হালদার। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার কুলতলি থানার ২ নম্বর জালাবেড়িয়া বেনেরহাট এলাকায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ধৃতকে বুধবার বারুইপুর আদালতে তোলা হবে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, জালাবেড়িয়া ২ নম্বর বেনেরহাট এলাকার বাসিন্দা পরমেশ্বর কলকাতায় দিনমজুরের কাজ করত। রায়দিঘির বোগরাবানি এলাকায় শ্বশুরবাড়ি করুণা গায়েনের। সেও কলকাতায় কাজ করত। এই সূত্রেই দু’জনের আলাপ থেকে ৩ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক হয়েছিল। কিন্তু এলাকার লোকজনের কাছে পরমেশ্বর করুণা কে ধর্ম বোন বলে পরিচয় দিত।
করুণার নিত্য যাতায়াতও ছিল পরমেশ্বরের বাড়িতে। পরমেশ্বরও বিবাহিত। কিন্তু তার স্ত্রী দুই বছর আগে অশান্তির কারনে চলে যায়। করুণা তিনদিন ধরে জালাবেড়িয়াতেই ছিল। এদিকে, দু’জনের সম্পর্ক চলাকালীন পরমেশ্বর জানতে পারে করুণার অন্য কোনও সম্পর্ক হয়েছে। এই নিয়েই এদিন দুপুরে দুজনের মধ্যে অশান্তি বাঁধে। সন্ধ্যায় তা চরমে উঠলে পরমেশ্বর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে করুণাকে।