নয়াগ্রামে দিলীপ ঘোষের আত্মীয় সহ শতাধিক বিজেপি কর্মীর তৃণমূলে যোগ । ফের দলবদল! ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লকের মলম অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সহযোগিতায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন সাহুর উদ্যোগে ‘পাশে আছি অভিষেক’ নামে এক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ওই কর্মসূচি উপলক্ষে নয়াগ্রাম ব্লকের ছোট ঝরিয়া থেকে নরসিংহ পুর পর্যন্ত ঐতিহাসিক মিছিল করা হয়। মিছিলের শেষে নরসিংহ পুর গ্রামে প্রকাশ্য সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এই মাবেশে বক্তব্য রাখেন নয়াগ্রামের বিধায়ক দুলাল মুর্মু, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাত, তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন সাহু সহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। প্রকাশ্য সমাবেশে বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সদস্য স্বদেশ রঞ্জন কুইলা সহ শতাধিক বিজেপি কর্মী বিজেপি দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য স্বদেশ রঞ্জন কুইলা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষের নিকটাত্মীয়। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান কারী সকলের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা।
আর ও পড়ুন চলন্ত বাসে তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্রের এক তরুণী কর্মীর শ্লীলতাহানি
তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন সাহু বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেসকে মানুষের কাছে হেয় করতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে বারবার ইডি অফিসে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। আসলে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলা ছেড়ে বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন ছড়িয়ে দিয়েছে। তাই বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে ইডিকে লেলিয়ে দিচ্ছে। সেই জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বাংলার মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছে এবং যুব নেতা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছে।
সেই দাবিকে সামনে রেখে রবিবার এই ঐতিহাসিক মহামিছিলের ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই সমাবেশে যেভাবে মানুষ বিজেপি দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করছে তাতে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে নয়াগ্রামের প্রতিটি এলাকায় বিজেপি প্রার্থী দেওয়ার মতো লোক খুঁজে পাবেনা।’ ওই সভায় সামিল হওয়া সর্বস্তরের মানুষকে বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করার আহবান জানানো হয়। সভায় আশা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন বলে সুমন সাহু জানান। আত্মীয়