আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জল সংরক্ষণ এ জোর , জানালেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া

আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জল সংরক্ষণ এ জোর , জানালেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জল সংরক্ষণ এ জোর , জানালেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় বৃষ্টির জল সংরক্ষণ  এর উপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এজন্য উদ্যোগী হয়েছে জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর ।
মঙ্গলবার মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে ম্যারাথন বৈঠক করেন মন্ত্রী মানস মানস ভুঁইয়া।

 

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান , উপগ্রহ চিত্র মারফৎ জানা গেছে
পশ্চিম মেদিনীপুর , ঝাড়গ্রাম , বাঁকুড়া , পুরুলিয়া , পশ্চিম বর্ধমান এর বিস্তীর্ণ এলাকায় মাটির তলার জল অনেক নীচে নেমে যাচ্ছে। এরফলে এসব এলাকায় চাষের কাজের জন্য মাটির উপরের জল ও বৃষ্টির জল সংরক্ষণ এর উপর জোর দেওয়া হয়েছে।

 

এজন্য একটি মাস্টার প্ল্যান নেওয়া হয়েছে। কোন জেলার কোন কোন ব্লকের মাটির গভীরে জলের স্তর নেমে গেছে , কোথায় পুকুর খনন করতে হবে , কোথায় চেক ড্যাম করতে হবে , কোথায় নদী থেকে খাল কেটে সেই জল সঞ্চয় করে চাষের কাজে লাগানো হবে সেসব ঠিক করবেন দপ্তরের কারিগরি ও প্রশাসনিক  আধিকারিকরা।
এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে সেখানেও একই ভাবে ঝর্ণার জল , নদীর জল , চেক ড্যামের জল সংরক্ষণ করা হবে।
মন্ত্রী জানান , এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে পঞ্চায়েত , উদ্যানপালন , পশুপালন , মৎস্য , কৃষি দপ্তরকে ।

এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো মূলত পাথুরে ,  কাঁকুরে , ল্যটারাইট এলাকায় জলতীর্থ , মাটির সৃষ্টি , জলছত্র , জল ধরো জল ভরো এই প্রকল্প গুলিকে আরো সুচারুভাবে বাস্তবায়ন করা।
মানস বাবু জানান , কৃষি জমিতে সেচ দেওয়া , জলের ব্যবস্থা করা , মাটির তলার জলস্তরের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার উপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জোর দিয়েছেন ।

 

এদিনের আলোচনায় উঠে এসেছে কি অবস্থায় তাঁর দপ্তর কাজ করছে ,  কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আরো ভালো কাজ করা যাবে এবং এসব প্রকল্পের রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।  আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিভাগীয় আধিকারিকরা তাঁদের রিপোর্ট জমা দেবেন।
জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী জানান , মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে ঝাড়গ্রাম জেলার লালগড়ে ২০ হাজার একর জমিতে তাঁর দপ্তর সেচের ব্যবস্থা করায় সেখানে উদ্যান পালন বিভাগ ও কৃষি বিভাগ বহু গাছপালা করেছে।

 

মন্ত্রী জানান ,  সারা রাজ্যে ৫৭.৩৭ লক্ষ হেক্টর কৃষি জমি রয়েছে । এরমধ্যে ৮০ শতাংশ জমিতে সেচের ব্যবস্থা করে জলসম্পদ উন্নয়ন দপ্তর। গত এক বছরে সারা রাজ্যে ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার পুকুর খনন করা হয়েছে।
মন্ত্রী এদিন ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিক দের নিয়ে ও বৈঠক করেন। তিনি জানান , গত এক বছরে এই দপ্তরে ২৭ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে । ১৮ হাজার নিষ্পত্তি হয়েছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top