জঙ্গি গোষ্টির পরিকল্পনার আনজাম দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার মৃনাল বর্মন

জঙ্গি গোষ্টির পরিকল্পনার আনজাম দিতে গিয়ে গ্রেপ্তার মৃনাল বর্মন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
আনজাম

ভ্যারচুয়ালি প্রশিক্ষন নিয়েই জঙ্গি গোষ্টির পরিকল্পনার আনজাম দিতে তৈরি হয়ে গিয়েছিল কেএলও মৃনাল বর্মন ওরফে জোশি। ভ্যারচুয়াল স্কেচ ম্যাপ ধরেই শিলিগুড়ি শহরের ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও বিহার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়ের ছক কষে জঙ্গি গোষ্ঠি। তবে পরিকল্পনার আগেই জঙ্গি গোষ্ঠীর গতিবিধি আটকে দেওয়া তারা। কেএলও মিলিট্যান্ট অবিনাশকে গ্রেফতারির পর তাকে দফায় দফায় জেরা করেই শুক্রবার রাতে তার সহযোগী জঙ্গি মৃনাল বর্মনকে গ্রেপ্তার করে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স।

 

মালদা গাজোল এর বাসিন্দা হলেও ধৃত কেএলও মৃনাল শিলিগুড়ি মহাকুমার ফাঁসিদেওয়ার কান্তিভিটা এলাকায় থাকতো। এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে শিলিগুড়ি নয়া বাজার এলাকায় তিনজন বিত্তশালী ব্যবসায়ীকে অপহরণের টার্গেট ছিল তাদের। সে মত ব্যবসায়ীদের অপহরণ করে মোটা অংকের টাকা বাগিয়ে দেশদ্রোহীতার মামলার ফেরার আসামি জীবন সিংহের মুখ্য জঙ্গি ডেরা মায়মামারের আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছানো পরিকল্পনা স্থির হয়।

 

শিলিগুড়িতে বসেই এক বছর ধরে কেএলও প্রধান জীবন সিংহের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখে চলছিল সে। ছয় মাস আগে খাস কেএলও মিলিট্যান্ট অবিনাশের সঙ্গে শিলিগুড়িতে মৃনালকে যোগাযোগ করে ভ্যারচুয়াল মাধ্যমে গতিবিধির নির্দেশ দেয়। এসটিএফের ডিএসপি সুদীপ ভট্টাচার্য্য বলেন কেএলও মিলিট্যান্ট অবিনাশ ওরফে জ্যাকির সঙ্গে মিলে ব্যবসায়ী অপরহরন ও বিহার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার পরিকল্পনা নেয় মৃনাল ওরফে জোশি। জ্যাকিকে দফায় দফায় জেরা করেই তার নাম উঠে আসে।

 

মায়ানমারের কেএলও জঙ্গিগোষ্ঠীর খাতায় নাম রয়েছে মৃনালের। প্রশিক্ষনের জন্য জঙ্গি শিবিরে যাওয়ার কথা ছিল তবে তার আগেই টেক নাম দিয়ে কাজে লাগানো হয়। ভার্চুয়াল কথাবার্তার মাধ্যমে তাকে ঝালিয়ে শিলিগুড়ি শহরে বড় অপারেশনের অংশ করা হয় তাকে।শনিবার শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে ধৃতকে তোলা হয়। আদালত দুই দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

 

সোমবার ফের ধৃতকে আদালতে পেশ করে ১৪দিনের পুলিশি হেফাজতের আর্জি জানাবে এসটিএফ। এসটিএফ সূত্রের খবর ধৃত অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষিত ছিল। ইতিমধ্যেই বিহারে অত্যাধুনিক সব আগ্নেয়াস্ত্র একে ৫৬, নাইন এমএম কিনে মজুদ মায়নামারে পৌঁছনোর কাজে লেগে পড়ে। অগ্রিমও দুই দফায় ১০হাজার ও ১৬হাজার টাকা দিয়েছে বাকি বকেয়া ৯হাজা টাকা মিটিয়ে নাইন এমএম দুদিনের মধ্যেই মজুদ করার কথা ছিল। বসতি এলাকায় দিব্যি আরপাঁচজনের মতো পরিবারকে নিয়ে বাস জোশির।

 

আর ও পড়ুন    পুরভোটের আগে জোর কদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

 

ছোট ভ্যান পিক আপ ভ্যানের গাড়ি চালকের ছদ্মবেশে ধরেই বসবাস ছিল কেএলও জঙ্গি মিলট্যান্টের। তারা বাবা মালদার প্রাক্তন কেপিপির প্রেসিডেন্ট ছিলেন সূত্রের খবর অনুযায়ী দাদা বাংলাদেশ কেএল জঙ্গি প্রশিক্ষণের শিবির চালায়। তার কাছে মেলা দুটি ফোন থেকে এসটিএফের হাতে এসেছে জীবন সিংহের সঙ্গে সরাসরি যোগের প্রমান সহ অপারেশনের ভ্যারচুয়াল স্কেচ মানচিত্র।

 

ডেরায় বসে আলকায়দা মতো একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর কায়দায় মায়ানমার থেকে ভ্যারচুয়ালি কেএলও প্রশিক্ষিত মিলিট্যান্ট তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জীবন সে তার প্রমাণ মিলেছে। সোশ্যাল ব্যক্তিগত এপের মাধ্যমে জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে কোড ব্যবহার করেই কথাবার্তার আদান-প্রদান করতো সে প্রমাণও ।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top