নবান্নে গেলেন না আনিসের বাবা। আমতায় ছাত্র নেতার রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস হাওড়া গ্রামীন জেলা সুপারের। শরীর ভালো নেই, নবান্নে গেলেন না আনিসের বাবা।আনিসের মৃত্যুর ৪৮ ঘন্টার পরে নড়েচড়ে বসলো রাজ্য প্রশাসন। আজ সকালে নবান্ন থেকে বিশেষ তদন্তকারী টিম তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশাপাশি তার পিতাকে নবান্নে আসার ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই আজকে হাওড়া গ্রামীনের পুলিশ সুপার সৌম্য রায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তাতে সুপার আনিসের মৃত্যুর তদন্ত নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই করা হবে বলেই দাবি করেন। নবান্ন থেকে আজকে যে শিট গঠন করা হয়েছে। তাতে কাদের রাখা রয়েছে সেই বিষয়ে এখনো তার কাছে কোনো নামের তালিকা নেই বলেই দাবি করেন তিনি।
ঘটনার পর থেকে আনিসের পরিবার ও এলাকাবাসীদের পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগকে অস্বীকার করে তিনি বলেন পুলিশ তার সাধ্যমতো ঘটনার তদন্ত করছে। আগামীদিনেও করবে। যখন যেমন পরিস্থিতি সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এই ক্ষেত্রে। পাশাপাশি তিনি জানান বাগনান থানাতে আনিসের নামে যে পসকোর মামলা ছিল সেই মামলাতে সমন জারি করা হয়েছিল।
এছাড়াও আমতা থানাতেও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তার নামে। যদিও তিনি বলেন এই সমস্ত অভিযোগকে সম্মিলিত করেই পরবর্তীতে তদন্ত করে সত্য প্রকাশে সুবিধা হবে। পাশাপাশি ওই দিনে যে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে মৃতের পিতাকে দেখানো হয়েছিল সেটাও পুলিশের কিনা তাও তদন্তে দেখা হবে বলেই জানান পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন সালেম খান যে এফআইআর দায়ের করেছেন আমতা থানায় তাও খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী যে বিশেষ তদন্তের টিম তৈরি করেছেন তারা ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা করবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সত্য বেরিয়ে আসবে বলেই দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনো হাতে এসে পৌঁছায়নি পুলিশের কাছে।
আনিসের ব্যবহৃত মোবাইল ওই চার ব্যক্তি সেদিন নিয়ে গেছিল সেটা উদ্ধারের চেষ্টাও করা হচ্ছে। পরিশেষে তিনি বলেন অনেক বিষয় যেগুলো এই তদন্তের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোকে নিয়ে বিস্তারিত এখনই বললে তাতে তদন্তের সমস্যা আসতে পারে।
আর ও পড়ুন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ প্রার্থীদের নির্বাচনের পর পালিশ করার কথা বললেন কল্যাণ
প্রসঙ্গত আজকে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ডেকে পাঠায় আনিসের পিতা সালেম খানকে। তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চান তিনি। এরপরই সেই বার্তা নিয়ে আনিসের বাড়ি যায় মন্ত্রী পুলক রায়। সেখানে গিয়ে তিনি এলাকার মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
পরে আনিসের পরিবারের থেকে জানান হয় সালেম খানের শরীর ভালো নয়। তাই তিনি নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে অপারগ। সালেম খান গতকাল তার পরিবারের সদস্যের জন্য রাজ্য সরকারের চাকরির প্রস্তাবকে খারিজ করে আগে তার ছেলের খুনের ঘটনায় যুক্তদের গ্রেফতার ও শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান।