কলকাতা-কলকাতায় শরৎ বসু রোডের ধারের অভিজাত হোটেলে বছর একুশের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। কাজের প্রয়োজন ছিল ওই তরুণীর। সেই দুর্বলতার সুযোগ নিয়েই কাজের প্রলোভন দেখিয়ে হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে।
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি গত ৭ মার্চের। বছর উনষাটের ওই অভিযুক্তের নাম কীর্তি কুমার মেহতা। গত ৭ মার্চ রাত ৮টা নাগাদ ওই হোটেলের ৫০৩ নম্বর রুমে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সূত্রের আরও খবর, বেশ কয়েকদিন আগে তরুণীর সঙ্গে ওই প্রৌঢ়ের পরিচয় হয়।
কাজের অভাবের কথা জানিয়েছিলেন তরুণী। কাজ দেওয়ার আশ্বাস দেন প্রৌঢ়। কাজ দেওয়ার কথা বলে ৭ তারিখ হোটেলে নিয়ে যান প্রৌঢ়। সেখানেই তরুণীর উপর নারকীয় অত্যাচার চলে বলে অভিযোগ।
অভিযুক্ত প্রৌঢ়ের বাড়ি কলকাতারই এলগিন রোডে। সেখানে নীলকমল অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। তরুণীকে হুমকি ধমকি দিয়ে ধর্ষণে বাধ্য করেন ওই প্রৌঢ়। এমনকী এনিয়ে কারও কাছে মুখ খুললে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে বলেও প্রৌঢ় হুমকি দেন বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে এমনটাই উল্লেখ করেছেন নির্যাতিতা। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই প্রৌঢ়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভবানীপুর থানার হাতেই গ্রেফতার অভিযুক্ত প্রৌঢ়। অভিযুক্তের নামে এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে অভিযুক্তকে। সোমবারই তাঁকে আদালতে পেশ করা হয়। অভিযোগকারী তরুণীর গোপন বয়ানও রেকর্ড করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, দিল্লির বাসিন্দা তরুণী কলকাতার একটি পানশালাতে কাজ করেন। রবিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত কীর্তি মেহতাকে।
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রমাণ জোগাড়ের পর তদন্তের উপর ভিত্তি করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নির্যাতিতা যাতে সুবিচার পান, তার জন্য পুরোদমে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
