বিনোদন – আত্মবিশ্বাসে ভরপুর, সাহসী ফ্যাশনচয়েসে অনন্য। ঋ সেন নামেই চেনেন ইন্ডাস্ট্রি ও দর্শকরা—যাঁর স্টাইল স্টেটমেন্ট বারবার নজর কেড়েছে। ট্র্যাডিশনাল হোক কিংবা ওয়েস্টার্ন, প্রতিটি লুকে নিজস্ব ছাপ রেখে চলেছেন অভিনেত্রী। কিন্তু বারবারই সাহসী পোশাকের জন্য তাঁকে হতে হচ্ছে কটাক্ষের শিকার। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।
সম্প্রতি একটি কালো, আঁটসাঁট ও স্বচ্ছ পোশাক পরে নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ছবি শেয়ার করেন ঋ। খোলা চুল, মোটা কাজল, ক্যামেরার দিকে দৃপ্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা ঋর এই ছবিতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে স্তনবৃন্তের রেখা, যা নিয়েই শুরু হয় তীব্র বিতর্ক। মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি। আর তার সঙ্গে আসতে থাকে একের পর এক ট্রোল, কটূ মন্তব্য, অবাঞ্ছিত আলোচনার স্রোত।
তবে ঋ জানিয়ে দিলেন—তিনি ট্রোলিংয়ে মোটেও কাবু নন। বরং এমন আলোচনা তাঁর কাছে “মজার”। যদিও এবার কিছুটা বিরক্ত হয়েই ইনস্টাগ্রাম থেকে ছবিটি মুছে ফেলেছেন অভিনেত্রী।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় ঋ বলেন, “আমি নিজের টাকায় ইন্টারনেট রিচার্জ করি, কারও বাবার টাকায় না। তাই কী পরব, কী শেয়ার করব, সেটা নিয়ে কারও মন্তব্যে কান দিই না।” তিনি আরও বলেন, “পাশ্চাত্য সংস্কৃতি আমাকে প্রভাবিত করে। জেনিফার লরেন্স, স্কার্লেট জোহ্যানসনের মতো অভিনেত্রীরা কী পরলেন বা কী পরলেন না, সেটাতে তাঁদের যায় আসে না। আমিও তেমনটাই মনে করি।”
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়—ঋ বহুবার সাহসী পোশাকে ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়েছেন। সম্পর্ক থাকাকালীন পরিচালক কিউ নিজেও অভিনেত্রীর খোলামেলা ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঋ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘কে কী বলল’ তাতে তাঁর কিছু যায় আসে না।
উল্লেখ্য, ঋর অভিনীত বিতর্কিত ছবি ‘কসমিক সেক্স’ তাকে আলোচনার কেন্দ্রে এনেছিল বহু আগেই। সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত হিন্দি ছবি ‘ডেসপ্যাচ’, যেখানে মনোজ বাজপেয়ীর বিপরীতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি বাংলা টেলিভিশনেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী।
