আবার বিস্ফোরক রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। নদী থেকে মাটি তোলা নিয়ে আবার কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মালদার রতুয়া ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ফজলুল হক রতুয়া থানার আইসিকে। আগের মতই চলছে মাটি পাচার অভিযোগ বিধায়কের। অভিযোগ অস্বীকার করে সিবিআই তদন্তের দাবি রতুয়া 1 নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির। বিধায়কের মন্তব্যকে সমর্থন জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সির। মাটি পাচারের কোটি কোটি টাকার ভাগের বখরা নিয়ে বিবাদ কটাক্ষ বিজেপির।
আরও পড়ুন – প্রবল বর্ষণ মালদায়-খুশির ঈদে অখুশি রইলেন মুসলিম সম্প্রদায়!
প্রতিদিন ফুলহার নদী থেকে মাটি কাটা নিয়ে ফের সরব হলেন তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ফজলুল হক তৃণমূলের বোরখা পড়ে এরা বিজেপি । রতুয়া থানার আইসি সুবীর কর্মকার, এই সুবীর কর্মকারের আমি বদলি দাবি করেছি। রাতে এই মাটি মাফিয়ারা থানায় যাই টাকা পয়সা দেয় আর এই অত্যাচার গুলো হচ্ছে। টাকার বিনিময় এবং ভেতরে ভেতরে বিজেপির সাথে যোগাযোগরয়েছে।
সেই কারণেই আইসি এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। কলকাতায় গেলে বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। রতুয়া নাককাটি ব্রিজকে ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে এরা। যদিও সমর মুখোপাধ্যায়ের এই অভিযোগ মানতে নারাজ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ফজলুল হক। তিনি বলেন, উনি পাগল হয়ে গেছেন উনার জানা উচিত আমি একজন শিক্ষক। তিনি যে কথাগুলো বলছে সেগুলো মিথ্যে কথা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। উনি এখানে সিবিআই ডাকুন তদন্ত করে প্রমাণ করুক যে এখানে ফজলুল হক জড়িত কিনা।
যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, বিধায়কের বাড়ি ওখানে উনি যা বলছেন সঠিক কথাই বলছেন। আমরা এই বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্ব সাথে কথা বলবো। যদিও এই ঘটনাকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি দক্ষিণ মালদার সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বলেন, মাটি নিয়ে কোটি কোটি টাকার কারবার চলছে। আর সেই টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে এই গন্ডগোল। প্রশাসন এবং তৃণমূলের নেতারা এই ঘটনার সাথে যুক্ত।