আমগাছ থেকে কলকাতা পুলিশের এক কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

আমগাছ থেকে কলকাতা পুলিশের এক কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

আমগাছ থেকে কলকাতা পুলিশের এক কর্মীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার। বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ মিটার দূরে আমগাছ থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল কলকাতা পুলিশের এক কর্মীর৷ এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রতুয়া-১ ব্লকের বাহারাল পঞ্চায়েতের বাখরা গ্রামে৷ মৃত পুলিশকর্মীর নাম যতনকুমার রায় (৫২)৷ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠিয়েছে রতুয়া থানার পুলিশ৷একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত৷

 

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০০ সালে কলকাতা পুলিশে চাকরি পান যতনবাবু৷ তিনি গাড়িচালকের পদে কর্মরত ছিলেন৷ বর্তমানে এক আইপিএস অফিসারের গাড়ি চালাতেন৷ পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী প্রতিমা রায়, ছেলে অভিজিৎ ও মেয়ে সুপ্রিতা৷ ছেলেমেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে৷ অভিজিৎ একটি বিমা সংস্থায় কাজ করেন৷

 

সোমবারই কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন যতনবাবু৷ গতকাল বাড়িতে তাঁর নাতির জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল৷ সেই অনুষ্ঠানেও অংশ নেন তিনি৷ অনেক রাতে ঘুমোতে যান৷ আজ সকালে নির্দিষ্ট সময়েই ঘুম থেকে উঠে চা খেয়ে সবার সঙ্গে কথা বলেন৷ এরপর তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান৷ ঘণ্টা দুয়েক পর খবর আসে, বাড়ির অদূরে আমগাছে তাঁর দেহ ঝুলছে৷ খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা৷ এই খবর চাউর হলে চাঞ্চল্য পড়ে যায় গ্রাম জুড়ে৷

আরও পড়ুন – বিজেপি করায় ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধের হুমকি!

যতনবাবুর দাদা রতন রায় জানাচ্ছেন, ‘আমরা একান্নবর্তী পরিবার৷ আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে চা খেয়ে সবার সঙ্গে কথাবার্তা বলে যতন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়৷ খানিক বাদেই স্থানীয় এক কৃষক খবর দেয়, বাড়ি থেকে সামান্য দূরে ওর দেহ ঝুলছে৷ ও ২২ বছর ধরে কলকাতা পুলিশে গাড়িচালকের চাকরি করছে৷ লালবাজারে পোস্টিং ছিল৷ কেন যে ও এমন সিদ্ধান্ত নিল, তা বুঝে পাচ্ছি না৷’
মৃতের এক ভাইপো মনোজিৎ রায় বলেন, ‘কাকার কর্মক্ষেত্রে কারও সঙ্গে কোনও ঝামেলা ছিল কিনা জানি না৷ তবে বাড়িতে কোনও সমস্যা ছিল না৷

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top