আমপানা বিলি করে অতিথিদের আপ্পায়ন করছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান। কাজের দিন হোক কিংবা ছুটির দিন অতিথি এলেই গরমের মৌসুমে ঢালাও আমপানা বিলি করে অতিথিদের আপ্পায়ন সারছেন ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান। পুরসভা তো বটেই এছাড়াও অনেকেই বিভিন্ন প্রয়োজনে হানা দিচ্ছেন তার রাজনৈতিক কার্যালয় কালিতলা তে।
কিন্তু যেখানেও থাকুন না কেন অতিথিদের জন্য ব্যবস্থা করে রাখছেন আমপানার। প্রচণ্ড গরমে রোদ থেকে চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে আসলে প্রথমেই অতিথিদের আগে ঠাণ্ডা ঘরে চেয়ারে বোসতে দেওয়া হচ্ছে। তারপর তাদের পৌর কর্মী থেকে কার্যালয়ের কর্মীরা আমপানার শরবত তৈরি করে অতিথিদের দিচ্ছেন।
আমপানার খাবার পর তারপর চেয়ারম্যানের পৌর নাগরিকদের সাথে কথা বলছেন। মাঝ বৈশাখের এই তীব্র দাবদাহে কাহিল হয়েছে মালদা বাঁশি। অনেকেই পৌরসভার বিভিন্ন প্রয়োজনে জরুরী কাজে পৌর নাগরিকদের চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ করতে জাচ্ছে । তাদের সমস্যার কথা চেয়ারম্যান কে বলছেন। চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ করতে গিয়েই অনেকেই অবাক হচ্ছেন। কারণ চেয়ারম্যান এর পক্ষ থেকে কর্মীরা অতিথিদের আম পানার শরবত তুলে দিচ্ছে। আর সেই শরবত খেয়ে তৃষ্ণা মিটিয়ে তারপর চেয়ারম্যানের সাথে প্রয়োজনীয় কথা বলছেন অতিথিরা।
চেয়ারম্যানের এই অতিথি আপ্যায়ন দেখে খুশি পৌর নাগরিকরা। এই বিষয়ে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জানান পঞ্চম বার পুরসভার চেয়ারম্যান হওয়ার পর এবার মেনুতে জোক হয়েছে আম পানার শরবত ।কাজের দিন হোক কিংবা অন্য কোন ছুটির দিন অনেকেই আমার কাছে প্রয়োজনে আসে অতিথি হয়ে তাদের আপ্যায়ন করতেই এই আম পানার শরবত এর ব্যবস্থা করেছি । তাদেরও তৃষ্ণা মিটছে আমারও তৃপ্তি হচ্ছে ।
এক সময় রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার সময় আমাদের আপ্তবাক্য ছিল (অতিথি দেব ভব)। অতিথিদের জন্য তাই এই আমপানার ব্যবস্থা। তাছাড়া মালদহের আমের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। পাকা আমের পাশাপাশি অনেকে কাজ কাঁচা আম বেশি পছন্দ করেন। তীব্র গরমে এই আমপানার শরবত খেলে শরীর ল ভালো থাকবে। এই গরমে চা-কফির বদলে ঠান্ডা পানিও মানুষ বেশি পছন্দ করছে তাই এই আমপানা শরবত মানুষ খেয়ে আরাম পাচ্ছে।
এদিন চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে আসা পৌর নাগরিক আকরাম আলী জানান জরুরী কাজে চেয়ারম্যানের কাছে ছুটির দিনে আজকে দেখা করতে এসেছিলাম। কিন্তু এসে দেখলাম চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করার আগেই । একটি ঘরে বসিয়ে আম পানার শরবত দিল সেটি খাওয়ার পরে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বললাম। যে কাজের সমস্যা নিয়ে জন্য এসেছিলাম সেটা তো চেয়ারম্যান দেখবেন বললেন। তার পাশাপাশি চেয়ারম্যানের এই অতিথি আপ্যায়ন দেখে আমরা খুব মুগ্ধ হয়ে গেছি। চেয়ারম্যানের এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।