সইফের কথায়, ‘আমি এবং আমার স্ত্রী আলাদা হয়ে গিয়েছি। আমি ওকে সম্মান করি। কিন্তু কেন বারবার মনে করানো হচ্ছে যে স্বামী হিসেবে আমি কতটা খারাপ?
বা বাবা হিসেবে কতটা খারাপ? আমার ছেলে ইব্রাহিমের ছবি আমার ব্যাগে থাকে। ওটা দেখেই কান্না পায়। আমার মেয়ে সারার কথা মনে পড়ে।’
সইফ অভিযোগ করেছিলেন, বিবাহবিচ্ছেদের পরে তিনি ছেলেমেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন না। নিজের পরিবারের সঙ্গে সারা-ইব্রাহিমকে রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা করতে পারেননি।
খোরপোশ নিয়েও মুখ খুলেছিলেন সইফ। বলেছিলেন, ‘অমৃতাকে আমার পাঁচ কোটি টাকা দেওয়ার কথা। তার মধ্যে আমি আড়াই কোটি টাকা দিয়েছি। এ ছাড়াও আমার ছেলের বয়স ১৮ না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক মাসে ওকে এক লক্ষ টাকা করে দেব।’ এর পরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন, ‘আমি শাহরুখ খান নই। আমার কাছে এত টাকা নেই। আমি কথা দিয়েছি, সব টাকা দিয়ে দেব। যদি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত টানতে হয়, টানব।
উল্লেখ্য, অমৃতার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ আজও মেনে নিতে পারেননি সইফ! ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবন ভেঙেছিল ২০০৪ সালে, তবে আজও অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে ডিভোর্সের ঘটনা মেনে নিতে পারেনি সইফ আলি খান। জানালেন ‘ডিভোর্স পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্য ঘটনা’। করিনার সঙ্গে সুখের সংসার সইফের। তৈমুরকে নিয়ে সুখী দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন সইফিনা। তবে হয়ত এমনটা নাও হতে পারত! মাত্র ২১ বছর বয়সে পালিয়ে অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ে বিয়ে করেছিলেন সইফ।
অমৃতার বয়স তখন ৩৩। কার্যত বাড়ির অমতেই একে অপরকে বিয়ে করেন সইফ-অমৃতা। সালটা ১৯৯১। সারা-ইব্রাহিমের জন্মের পরেও টেকেনি সেই সম্পর্ক। ২০০৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় সইফ-অমৃতার। সম্প্রতি নিজের প্রথম বিবাহ এবং সন্তানদের নিয়ে মুখ খুললেন সইফ।