২৫ নভেম্বর, এবার দেশের নৌবাহিনীর পাইলটের দায়িত্বে হাতখড়ি হতে চলেছে আরও এক কন্যার। আগামি ৪ ডিসেম্বর নৌসেনা দিবস। তার দুদিন আগেই পাইলটের আসনে দেখা যাবে শিবাঙ্গীকে। এতদিন ট্রাফিক কন্ট্রোলের দায়িত্বে দেখা গিয়েছিল অনেক মহিলাদের কিন্তু এই প্রথমবার নৌবাহিনির পাইলট হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন কোনও মহিলা। উত্তর প্রদেশের বরেলির মেয়ে শিভাঙ্গি বলেন, এটা শুধুই একটা বড় সুযোগ নয়, খুব বড় দায়িত্বও বটে। শিবাঙ্গির বাবা নৌবাহিনীর একজন কমান্ডার। হায়দ্রাবাদের দুন্দিগাল এয়ারফোর্স একাডেমিতে প্রশিক্ষন হবে শিবাঙ্গির, যেখানে নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনীর বিমানচালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
লক্ষনরেখা পার হওয়ার রাস্তাটা অবশ্য খুব সহজ ছিল না, বিশেষ করে দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙে মহিলাদের নৌসেনার পাইলটের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ঘোষনা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রক। আর সেই সুযোগ হাতছারা করতে চাননি লেফটেন্যন্ট শিবাঙ্গী। বছর কয়েক আগেই যুদ্ধবিমান ওড়ানোর সুযোগ পেয়েছেন মহিলা এয়ারফোর্স অফিসাররা, ২০১৫ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্যারেডেও নেতৃত্ব দেন এক মহিলা অফিসার। তারপর ২০১৬ সালে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধ বিমানের ককপিটে বসার ছাড়পত্র পান মোহনা সিং, আভানি চতুর্বেদী ও ভাবনা কান্থ।
বায়ুসেনার পরে এবার নৌসেনার আন্দরেও রাজত্ব করতে চলেছেন মহিলারা। তবে এমন নয় যে মহিলা বলে শারীরিক বা মানসিক সক্ষমতার মাপকাঠি শিথিল করা হয়েছে, প্রতিটি মাপকাঠিকেই উতরে আগে এগিয়েছেন শিবাঙ্গী।