আরও বাড়ল শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানের ( Aryan ) সমস্যা। এনসিবি আদালতে আরিয়ানের হেফাজত বাড়ানোর দাবি করেছিল, যার শুনানি হয় সোমবার আদালতে। তাতেই নির্দেশ দেওয়া হয় আরিয়ান ৩ দিন এনসিবির হেফাজতে থাকবে। অর্থাৎ আরিয়ান এখন ৭ অক্টোবর পর্যন্ত এনসিবির হেফাজতে থাকবে। আরিয়ানের মামলা আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে দেখছেন। এনসিবির হেফাজতে আরিয়ান খান এবং আরবাজ মার্চেন্টকে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এই সময় আরিয়ান ভেঙে পড়েন। এনসিবি জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা মাদক সম্পর্কিত জায়গায় অভিযান চালায়, যেখান থেকে অনেক লোক ধরা পড়েছে। লিখিত বক্তব্যে আরিয়ান খান তার গ্রেফতারির কথা স্বীকার করার সময় লিখেছেন, “আমি আমার গ্রেফতারের কারণ বুঝতে পেরেছি এবং আমি আমার পরিবারের সদস্যদের এ বিষয়ে অবহিত করেছি।
আর ও পড়ুন গ্রেফতার হলেন অখিলেশ যাদব, কেন?
” আরিয়ান ( Aryan ), আরবাজ মার্চেন্ট এবং মামলার অন্যান্য অভিযুক্তদের ফোন বাজেয়াপ্ত করে সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা অনুসন্ধান করেছিল এনসিবি। আরিয়ান এবং আরবাজ দুজনকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনসিবি। তাদের সামনাসামনি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে এনসিবি -র মুম্বাই অফিসের জোনাল অফিসার বিশ্ব বিজয় সিং গ্রেফতার করে। এনডিপিসি আইন ১৯৮৫ এর ধারা ৮সি, ২০বি,২৭ ৩৫ ধারায় আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে। স্টারকিডের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য ক্রয় -বিক্রয়ের অভিযোগ ছিল এবং সেজন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও, পরে বলা হয়েছিল যে তার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র ড্রাগ সেবনের অভিযোগ রয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, আরিয়ানকে এনসিবি আটক করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রুজ টার্মিনাল, গ্রিন ডেট মুম্বাই থেকে। সেদিন নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো টিম মুম্বাই থেকে গোয়া যাওয়ার ক্রুজ জাহাজে অভিযান চালায়, যেখানে আরিয়ান খানও ড্রাগ পার্টিতে ধরা পড়েন।
আরিয়ান, তার বন্ধু আরবাজ মার্টেন্ট, মুনমুন ধামেচা এবং আরও পাঁচজনকে এনসিবি হেফাজতে নিয়েছে। সবাইকে প্রশ্ন করা হয়েছিল। এর পর আরিয়ান সহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদিন এনসিবি রিমান্ডে বলা হয়েছিল যে আরিয়ান খানের ফোনে ছবির আকারে চমকপ্রদ আপত্তিকর জিনিস পাওয়া গেছে। এনসিবি ১১ তারিখ পর্যন্ত আরও হেফাজতের দাবি করেছিল। বলা হচ্ছে যে ছবি চ্যাট আকারে আরিয়ানের ফোন থেকে অনেক লিঙ্ক পাওয়া গেছে, যা আন্তর্জাতিক মাদক পাচারের দিকে নির্দেশ করে। আর এর প্রতিপক্ষে আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে স্টারকিডের কথাগুলো আদালতের সামনে রাখেন। আইনজীবী বলেন, আরিয়ান অতিথি হিসেবে ক্রুজে গিয়েছিলেন। তাকে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাকা হয়েছিল এবং তিনি এর জন্য কোন টাকা পাননি। আইনজীবী আরও বলেন, এনসিবির তদন্তে আরিয়ান থেকে ওষুধ বা টাকা পাওয়া যায়নি।