পশ্চিম মেদিনীপুর – লাগাতার বৃষ্টি এবং ডিভিসির লাগাতার জল ছাড়ার কারণে আরামবাগ ও ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। জলবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। বহু পরিবারকে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে সরকারি ত্রাণ শিবিরে। এই পরিস্থিতিতে আগামী মঙ্গলবার, ৫ অগস্ট বন্যাকবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নবান্ন সূত্রে এমনই খবর পাওয়া গেছে।
টানা বৃষ্টির ফলে শীলাবতী ও ঝুমি নদীর জলস্তর বেড়েছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ঘাটাল পুরসভার ১৩টি ওয়ার্ড এবং ৫টি পঞ্চায়েত এলাকার একাধিক গ্রাম। যেদিকে চোখ যায়, শুধু জল আর জল। ধান জমি তলিয়ে গেছে হাজার হাজার বিঘে। কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। অনেক সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ডিঙ্গি নৌকা। পরীক্ষার সময় স্কুলে পড়ুয়ারা পৌঁছতে না পারায় একাধিক স্কুলের পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইতিমধ্যেই ঘাটালের বন্যাকবলিত এলাকায় ঘুরে দেখছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি জানিয়েছেন, ২০২৭ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের কাজ সম্পূর্ণ হবে এবং এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই বদলাবে।
শুধু ঘাটাল নয়, হুগলির আরামবাগ ও খানাকুলের বড় অংশও জলমগ্ন। রূপনারায়ণ ও মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল বিপদসীমার ওপরে বইছে। ডিভিসির লাগাতার জল ছাড়ার ফলে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। বিস্তীর্ণ চাষের জমি তলিয়ে গেছে।
নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, ৫ অগস্ট মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে আরামবাগে পৌঁছবেন। সেখান থেকে যাবেন ঘাটালে। বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তাঁদের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। ঘাটাল পরিদর্শন শেষে মুখ্যমন্ত্রী মেদিনীপুরে যাবেন। প্রয়োজনে সেদিন মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে রাত্রিবাস করবেন তিনি। পরদিন ঝাড়গ্রামে গিয়ে বন্যাকবলিত তিনটি এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার পর বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দেবেন।
