নিজস্ব সংবাদদাতা,কলকাতা ,৯ই সেপ্টেম্বর : আর্থিক প্রতারণা মামলায় মুকুল রায়কে তলব করল কলকাতা পুলিস। সোমবার বিকালের মধ্যে বেহালা অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের অফিসে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, সেই কারণেই ঠাকুরপুকুর থানায় এলেন মুকুল রায় ।ঠাকুরপুকুর থানা ঢোকবার সময় মুকুল রায় বললেন আমি মমতা ব্যানার্জির মত ইনভেস্টিকেশন এজেন্সি ডাকলে পালাই না ।তদন্তে সহযোগিতা করি ।তার জন্যই এসেছি। যা যা জিজ্ঞেস করা হবে সব কিছুরই উত্তর দেবো কিন্তু রেলের উচ্চপদস্থ পদ পাইয়ে দেওয়ার জন্য এত টাকা এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আর বাবান ঘোষ সে আমার পার্টির কর্মী হতে পারে কিন্তু আমি তাকে খুব ভালোমতো চিনি না।
গত শুক্রবারই এই মামলায় মুকুল রায়ের গ্রেফতারির ওপর স্থগিতাদেশ বাড়ায় হাইকোর্ট। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি থাকবে। হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ, তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে মুকুল রায়কে। মুকুলকে ডেকে পাঠানোর ৭২ ঘণ্টা আগে নোটিস পাঠাতে হবে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি সইদুল্লাহ মুন্সির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি। এজি না থাকায় সময়ে চেয়ে নেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুকুলের ওপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ ছিল।উল্লেখ্য রেলের স্থায়ী কমিটির সদস্য পদ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে দফায় দফায় আশি লক্ষ টাকার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই যুক্ত থাকা বিজেপির শ্রমিক সংগঠন নেতা বাবান ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।কলকাতার এক নামজাদা ব্যবসায়ী সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তাঁকে রেলের স্থায়ী কমিটিতে সদস্যপদ পাওয়ার জন্য নানা ভাবে বাবান ঘোষ আশি লক্ষ টাকা নিয়েছিল। এমনকি রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর রাজত্বকালে এই সন্ত গঙ্গোপাধ্যায়কে বাবান ঘোষ সংসদে নিয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।কিন্তু পুরো বিষয়টি সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন সন্ত গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত করে পুলিশ এবং তদন্তে মুকুল ঘনিষ্ঠ বাবান ঘোষের নাম উঠে আসে। এর পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।