Deprecated: version_compare(): Passing null to parameter #2 ($version2) of type string is deprecated in /home/u517603494/domains/shinetv.in/public_html/wp-content/plugins/elementor/core/experiments/manager.php on line 170
আর্সেনিকমুক্ত জল তৈরিতে ‘পেটেন্ট’ পেলেন রায়গঞ্জের অধ্যাপক স্পন্দন ঘোষ

আর্সেনিকমুক্ত জল তৈরিতে ‘পেটেন্ট’ পেলেন রায়গঞ্জের অধ্যাপক স্পন্দন ঘোষ

আর্সেনিকমুক্ত জল তৈরিতে ‘পেটেন্ট’ পেলেন রায়গঞ্জের অধ্যাপক স্পন্দন ঘোষ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

আর্সেনিকমুক্ত জল তৈরিতে ‘পেটেন্ট’ পেলেন রায়গঞ্জের অধ্যাপক স্পন্দন ঘোষ । আর্সেনিকমুক্ত পরিশুদ্ধ পানীয় জল তৈরির সহজ উপায় বের করে ভারত সরকারের কাছ থেকে আবিষ্কারের পেটেন্ট পেলেন রায়গঞ্জ পলিটেকনিকের অধ্যাপক তথা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার স্পন্দন ঘোষ। তাঁর এই সাফল্যের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সকলেই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা দিয়ে ভরিয়ে দিয়েছেন।

 

জানা গিয়েছে, মাটির তলার জল বা ভৌমজলে মিশে থাকে আর্সেনিকের মতো বিষ।বিষের মাত্রা বেশি হলে ব্ল্যাকফুট ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জল থেকে সেই বিষ বিচ্ছিন্ন করে পরিশ্রুতের মাধ্যমে পানের যোগ্য করে তোলার প্রযুক্তির উপায় বের করেছেন রায়গঞ্জের এই অধ্যাপক।
উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা স্পন্দন বাবু। বর্তমানে রায়গঞ্জ পলিটেকনিক কলেজের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক পদে কর্মরত রয়েছেন। তাঁর গবেষণার গাইড অধ্যাপক রঞ্জন মজুমদার।

 

অধ্যাপক স্পন্দন ঘোষ বলেন, ভূগর্ভস্থ পানীয় জলকে আর্সেনিকমুক্ত করতে পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে নানো মেটেরিয়াল আবিষ্কার হয়েছে। হাওড়ার শিবপুরের ইন্ডিয়ান ইনিস্টিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ল্যাবরেটরিতে ২০১৭ সাল থেকে এ’নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে ও অবশেষে সাফল্য মিলেছে। কার্বন (বিশেষ ভৌতরূপ) অক্সাইডের মধ্যে আয়রন (লৌহ) এবং মাঙ্গানিজ মিশ্রন করে নিপুন দক্ষতায় ন্যানোমেটেরিয়াল প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতি এক লিটার জল পরিশোধন করতে খরচ অতি সামান্য বলে দাবি করেন তিনি।

 

কিভাবে এই ন্যানো মেটেরিয়াল ব্যবহার করা হবে? জানতে চাইলে অধ্যাপক ঘোষ বলেন, পশ্চিম বঙ্গের মালদা, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া জেলার বহু প্রান্তে বাসিন্দারা আর্সেনিক মিশ্রিত জল পান করতে বাধ্য হন। সরকারি ভাবে নানাবিধ প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে। তবে এই আবিস্কারে পাওয়া ন্যানো ম্যাটারিয়াল দুই ভাবে সাধারণ বাসিন্দাদের নাগালে আসতে পারে। অধিক জনবসতি যুক্ত এলাকায় বালির স্তরের ফিল্টার তৈরি করার মাধ্যমে।

 

এক্ষেত্রে, ফিল্টারের বালির সঙ্গে ন্যানোমেটেরিয়াল মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর উপর দিক দিয়ে আর্সেনিকপূর্ণ জল ফিল্টারে ঢাললে নিচ দিক দিয়ে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল সরবরাহ সম্ভব। অথবা, বাড়ি কিংবা স্কুল, কলেজ, হাসপাতালে ‘ক্যান্ডেল’ ফিল্টারের মাধ্যমেও আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল পাওয়া সম্ভব। সেইক্ষেত্রে ক্যান্ডেল ফিল্টার তৈরির সময় সেরামিকের সাথে ন্যানোম্যাটেরিয়াল মিশিয়ে দিতে হবে।

 

অধ্যাপক ঘোষ বলেন, ভারত সরকারের ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি আইনে ইতিমধ্যে আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জল তৈরির পেটেন্ট পেয়েছি। এবার আর্সেনিকমুক্ত ফল সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজন সরকারি সহযোগিতা। এমন সফলতাকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন পশ্চিম বঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের কার্যকরী সভাপতি অনিরুদ্ধ সিনহা। তিনি বলেন, আর্সেনিক মিশ্রিত জল পান করে বহু মানুষ নিয়মিত ভাবে পঙ্গু হয়ে পড়ছে। এমন আবিষ্কার সাধারন মানুষের মধ্যে পৌঁছে গেলে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচবে।

 

পরিবেশ চিন্তক ত্রিদীপ্ত ঘোষ বলেন, উত্তর প্রদেশ ও বিহারে গঙ্গা নদীর বুক থেকে খাল কেটে প্রচুর পরিমাণে জল কৃষি জমিতে ব্যবহার করা হয়। সেকারণেই এই রাজ্যের গঙ্গা – ভাগীরথী নদীর পাড় বরাবর আর্সেনিক, দূষক হিসেবে বহু মানুষের ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন আবিষ্কারকে সরকারি উদ্যোগে দ্রুত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top